কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক রক্ষায় হাইকোর্টের রুল
২৭ এপ্রিল ২০২২ ০০:১৬
ঢাকা: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রংমহল গ্রামের কাছে বিদ্যমান জলাধার, টিলা, কৃষিজমি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বেলা ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
রুলে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ছয়টি মৌজার বালুমহালকে বিধি বহির্ভূতভাবে তালিকাভুক্ত করা ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক বালুমহালগুলো নতুন করে ইজারা দিতে টেন্ডার আহ্বানের জন্য জারি করা পরিপত্র সংবিধান, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এবং বিধিমালা বহির্ভূত হওয়ায় তা কেন অবৈধ ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও দোষীদের কাছ থেকে তা আদায় এবং বালু মহালগুলো ও পার্শ্ববর্তী জলাধার, টিলা, কৃষিজমি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় বিবাদীদের প্রতি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া আদালত বালুমহালগুলোর ঘোষিত তালিকা এবং গত ১০ মার্চ তারিখে জারি করা টেন্ডার পরিপত্রের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। উল্লেখিত ছয়টি বালুমহালসহ সংরক্ষিত বনভূমি, টিলা, কৃষিজমি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
পাশাপাশি বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্তার যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণসাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখিত জলাধারগুলোতে রয়েছে ছয়টি ঘোষিত ও ইজারকৃত বালুমহাল, যেখানে রয়েছে সংরক্ষিত বনভূমি।
ভূসি সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের ডিসি, এসপিসহ ১৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর