Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কমলাপুর বাসস্ট্যান্ডে নেই যাত্রীদের ভিড়, দেরিতে ছাড়ছে বাস

গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১৩

ঢাকা: রাজধানীর কমলাপুর বাসস্ট্যান্ডে ইদমুখী যাত্রীদের কোনো ভিড় নেই। যাত্রী কম থাকায় অনেক বাস নির্ধারিত সময়ের ১৫/২০ মিনিট পর পর ছেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র ইদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র তিন-চার দিন। এসময়ে পরিবারের সঙ্গে ইদ পালন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকার কথা। কিন্তু কমলাপুর বাসস্ট্যান্ডে এ বছরের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের চাপ না থাকায় কাউন্টারগুলোও প্রায় ফাঁকা। যাত্রী সংকটে কিছু কিছু দূরপাল্লার বাসের শিডিউল বাতিল করা হচ্ছে। সাধারণত প্রতি ইদের ৩-৪ দিন আগে বাসস্টেশনের বিভিন্ন কাউন্টারে ঘরমুখো যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা গেলেও এবার এখন পর্যন্ত ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যাচ্ছে। ফলে ইদ উপলক্ষে ভাড়াও অন্য বছরের তুলনায় খুব একটা বাড়েনি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, কোনো কোনো পরিবহন তাদের বাসের ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামীকাল শুক্রবার থেকে ইদের সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ইদ যাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে তাদের আশা।

এদিকে কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলাচলরত ইউনিক পরিবহনের সেলস এক্সিকিউটিভ নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, যাত্রী সংখ্যা কম। তাই সকাল থেকে প্রতিটি বাস ১০/১৫ মিনিট পর পর ছাড়তে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এই রোডে কোনো ভাড়া বাড়াইনি। ইদের আগে ২৫০ টাকা ভাড়া ছিল, এখনও তাই নিচ্ছি।

একই কথা বলেন সোহাগ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মাহফুজুর রহমান রাজ। তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-চট্রগ্রাম এবং ঢাকা কক্সবাজার রোডের জন্য এখন থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের খুব বেশি চাপ নেই। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি যাত্রী চলাচল করছে। কোনো ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ইদের আগের নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ টাকা, ঢাকা-খুলনা ১৪০০ টাকা, ঢাকা-চট্রগ্রাম ১৪০০ টাকা এবং ঢাকা-কক্সবাজার দুই হাজার টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আগেও এই ভাড়া নেওয়া হতো।

অন্যদিকে ঢাকা-কুমিল্লা রোডে চলাচলকারী মিয়ামী এয়ারকন বাসের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বাসের প্রথম ছয়টি সিটের ভাড়া বিজনেস ক্লাস নাম দিয়ে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বাকি সিটগুলোর ভাড়া ২৫০ টাকা। একই কথা বলছেন এই রোডে চলাচলকারী এশিয়া এয়ারকন পরিবহনের টিকিট সেলসম্যান মামুন। তিনি বলেন, আমরা বিজনেস ক্লাসে ৩৫০ এবং রেগুলারে সিটের জন্য ৩০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছি। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, এশিয়া এয়ারকন ৫০ টাকা করে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। কিন্তু কাউন্টার থেকে তা অস্বীকার করছে।

এদিকে ঢাকা-লক্ষীপুর রুটে বিআরটিসি পরিবহনের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। এই অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে স্বয়ং বিআরটিসি কর্মচারীদের কাছ থেকে। ঢাকা থেকে লক্ষীপুর ভাড়া আগে ৪০০ টাকা থাকলেও এখন নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। এছাড়াও একই বাসে ঢাকা- রামগঞ্জ আগে ৩০০ টাকা থাকলেও এখন নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা।

রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা কামাল হোসেন স্বপরিবারে ঢাকা থেকে লক্ষীপুর যাচ্ছেন মা বাবাব সঙ্গে ইদ করতে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, কোনো রোডে বাসের ভাড়া বাড়ায়নি। অথচ সরকারি পরিবহন হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা-লক্ষীপুর রোডে ভাড়া ২০০ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। এদেশে কোনো নিয়ম নেই। আমরা চার জনকে অতিরিক্ত ৮০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিআরটিসি‘র স্টাফ আজহার সারাবাংলাকে বলেন, আসার পথে আমাদের খালি আসতে হয়। তাই ভাড়া ১০০/১৫০ বেশি নেয়া হচ্ছে। তারপরেও আমাদের লস হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইদের কথা বিবেচনা করে আমরা এই রোডে বাস চালু রেখেছি। অন্য অনেক রোডে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/এসএসএ

কমলাপুর বাসস্ট্যান্ড

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর