Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এপ্রিলে দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ১১টি

স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট
৩০ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫৮

ঢাকা: এপ্রিল মাসে দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১১টি ঘটনা ঘটেছে। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনজন শিক্ষক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মামলা ও জেলে ঢোকানো এবং নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব ইস্যু তৈরি করে আমোদিনী পাল নামে সহকারী প্রধান শিক্ষককে হয়রানি করা হয়।

১১ এপ্রিল বাগেরহাটে ‘ধর্ম অবমাননার’ গুজব ছড়িয়ে এক হিন্দু তরুণের (২৫) বাড়িতে হামলা করা হয়। ধর্ম অবমাননা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এমন অভিযোগে ওই তরুণকে আমরবুনিয়া জামে মসজিদে ডেকে নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিচার করে। সন্ধ্যায় মোংলার আমরবুনিয়া, জিউধরা, গুলিশাখালী ও কচুবুনিয়া গ্রামের কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে ওই তরুণের বাড়ির দিকে মিছিল নিয়ে যায়। এ সময় তারা বাড়িতে ভাঙচুর করে খড়ের গাদায় আগুন দেয়।

১৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও পৌরসভা এলাকার কালোদীঘি কালীমন্দিরের পাশের একটি পুকুর দখল নিতে চেষ্টা চালায় ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. বাবুলসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের লোকজন। পুকুরটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মালিকানার জমিতে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন প্রতিরোধ করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। জমি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা মসজিদে মুসলিমদের ওপর হামলা হয়েছে এমন মিথ্যা গুজব ছড়ায়। এ ঘটনায় সমবায় হিমাগারে স্থাপিত মসজিদে আসা নামাজিদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলেন এবং আদিবাসীদের বাড়িঘরে হামলার চেষ্টা করেন।

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী গারোদের জমিতে লেক খনন প্রকল্পের কাজ নিয়েছে বন বিভাগ। এ জমিতে ১৩ জন গারো জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বংশপরম্পরায় চাষাবাদ করছেন। জমির মালিকরা সেখানে লেক খনন করতে সম্মত হননি।

গত ২২ এপ্রিল বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মীরা ওই জমিতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ, উন্নয়নমূলক কাজ চলমান, আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ’।

এই সাইনবোর্ড দেখার পর স্থানীয় গারো জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। গত ২৩ এপ্রিল শনিবার রাতে কে বা কারা ওই সাইনবোর্ডটি ভেঙে ফেলে।

এ ঘটনায় বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে রোববার বিকেলে মধুপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে অভিযুক্ত করা হয়।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

জাতিগত সংখ্যালঘু মানবাধিকার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন সংখ্যালঘু নির্যাতন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর