নিখোঁজের ৬ দিন পর জলাশয় থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার
১ মে ২০২২ ১৮:১০
ঢাকা: নিখোঁজের ছয় দিন পর রাজধানীর ভাটার খিলবাড়ির টেক এলাকায় একটি জলাশয় থেকে ইয়াছিন মিয়া (৮) নামের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এজাজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খিলবাড়িরটেক এলাকায় একটি জলাশয়ের একটি লাশ ভাসছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটস্থলে যাই। সেখানে কচুরিপানা যুক্ত পানিতে এক শিশুর মৃতদেহ দেখতে পাই।’
এসআই আরও বলেন, ‘শিশুটির পা দুটি বাইরের দিকে ছিল। দেহ কচুরিপানার মধ্যে ছিল। শরীরে পচন ধরেছে। প্রথমে অজ্ঞাত হিসাবে মৃতদেহ উদ্ধার করলেও পরে পরিচয় শনাক্ত হয়। শরীরে পচনের কারণে আঘাতের কোনো চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে না। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৫ এপ্রিল শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে বাড্ডায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন শিশুটির পরিবার। সেই সাধারণ ডায়রির সুত্র ধরে পরিচয় শনাক্ত হয় শিশুটির।
মৃত ইয়াছিনের বাবা রিকশা চালক মো. আলামিন মিয়া জানান, তারা উত্তর বাড্ডা জিএম বাড়ি খালপাড় এলাকায় ভাড়া থাকে। ইয়িছিনের মা খাদিজা আক্তার বাসা বাড়িতে কাজ করে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে ইয়াছিন ছিল বড়। স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো সে। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার রাজগাতি গ্রামে।
আলামিন বলেন, ‘গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যার পর থেকে ইয়াছিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ২৬ এপ্রিল বাড্ডা থানায় নিখোঁজের জিডি করি। আজ দুপুরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি, খিলবাড়ির টেক এলাকায় এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। পরে সেখানে গিয়ে আমার ছেলে ইয়াছিনের লাশ দেখতে পাই।’
ইয়াছিনের বাবা বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। রিকশা চালাই। এলাকায়তো আমার কোনো শত্রু নাই। কারও সঙ্গে ঝগড়াও হয়নি। কারা আমার ছেলেকে মেরে কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দিছে তা জানি না।’
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম