‘অধিকার আদায়ে শ্রমিকদের এখন ডিসি-ইউএনও অফিস ঘেরাও করতে হয় না’
১ মে ২০২২ ১৬:৪৯
ঢাকা: বর্তমান সরকারকে শ্রমিকবান্ধব সরকার হিসেবে অভিহিত করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথ দখল করে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে হতো। তাদের ডিসি অফিস-ইউএনও অফিস ঘেরাও করতে হতো। এখন আর তা করতে হয় না। কারণ আমাদের সরকার শ্রমিকবান্ধব সরকার।
রোববার (১ মে) দিনাজপুরের বিরল বাজারের বকুলতলা মোড়ে বিরল উপজেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের আয়োজনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। পৃথিবীর বড় বড় জাহাজগুলো আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মাতারবাড়ীতে নোঙর করবে। আমাদের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, যেখানে হাজার হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। গাইবান্ধায় গোবিন্দগঞ্জের পথে আমাদের শুধুমাত্র একটি সুগার মিল ছিল, সেখানে পৃথিবীর বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান। সেখানে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। সেখানে শুধু হাজার হাজার নয়, লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং আমাদের এ অঞ্চলের অর্থনীতি বিকশিত হবে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে এসব উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী উন্নয়নশীল দেশগুলো কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালদ্বীপ, শ্রীলংকার মতো দেশ ধনী থেকে গরিব হয়ে যাচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে ধরে রাখতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জীবন এবং জীবিকা একসঙ্গে চলবে। পৃথিবীর কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান জীবন এবং জীবিকা এই ধরনের জীবন দর্শন দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিকেরা এবং আমরা সেদিন আমাদের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার আহ্বানে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধরে রাখতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রেখেছি। জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করেই সারাদেশের লাখ লাখ শ্রমিক সেদিন শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল। আমাদের মাঝ থেকে এই কোভিডকালীন সময়ে প্রায় ২৯ হাজার মানুষ হারিয়ে গেছে। অনেক বরণ্যে ব্যক্তিত্বকেও আমরা ধরে রাখতে পারিনি। অনেক শ্রমিক মারা গেছেন। কিন্তু আমরা দেশমাতৃকার প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়েছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অ্যানালগ বাংলাদেশকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছি। শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলাদেশকে আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং এটা ধরে রাখার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনেক রাজনীতি হবে, গুজব রটানো হবে। কিন্তু দিন শেষে আমাদেরকে ভাবতে হবে, আমি ভালো আছি কি না, আমার পরিবার ভালো আছে কি না, বাংলাদেশ ভালো আছে কি না। এই সংগ্রাম অবশ্যই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ধরে রাখতে পারব।
উপজেলা কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি হাসান ফরিদ বিদ্যুতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. আফছানা কাওছার এবং জেলা ও উপজেলার শ্রমিক নেতারা।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মে দিবস শ্রমিক দিবস