Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী যাত্রীদের ভোগান্তি

লোকাল করেসপন্ডেন্ট
৫ মে ২০২২ ১৫:৪৬

বেনাপোল: দীর্ঘদিন পর টুরিস্ট ভিসা চালু হওয়ায় এবার ইদে বেনাপোল স্থলবন্দরে দেখা গেছে দুই দেশে ভ্রমণ আগ্রহীদের উপচেপড়া ভিড়। এছাড়াও কেউ যাচ্ছেন ডাক্তার দেখাতে, কেউ যাচ্ছেন ব্যবসার কাজে। এসব কারণে ইদের আগে থেকেই প্রতিদিন বাড়ছে ভিড়। তবে ভিড় বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কিংবা স্বাভাবিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

বিজ্ঞাপন

ইদের লম্বা ছুটি থাকায় বন্দরে বেড়েছে ভ্রমণ আগ্রহীদের ভিড়। আর এ সুযোগে চেকপোস্টে নিয়োজিত বন্দরের আনসার ও বন্দর সিকিউরিটি দালালদের বিরুদ্ধে উঠেছে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ। লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে পাঁচশ বা হাজার টাকার বিনিময়ে দালালরা বন্দর দিয়ে আলাদাভাবে ভেতরে প্রেবেশ করিযে দিচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

ভারতে যাওয়া যাত্রীদের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিটি পর পর ৭/৮ জন যাত্রী ভারতে ঢুকে ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রবেশ করছেন। সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগ প্রত্যেক যাত্রীকে করোনার আর টি পিসিআর টেস্ট করছেন। এখানে সময় লাগছে ৪০ মিনিটি।

এরপর পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশের পর শুরু হয় আবার দেখা যায় অন্য দৃশ্য। ভারতের পেট্রপোল ইমিগ্রেশনে রয়েছে প্রায় ৪০টি ডেক্স। কিন্তু অফিসার আছেন মাত্র ১০ জন। তারাই অফিসার আড়াই হাজার যাত্রীর ইমিগ্রেশন সিল মারছে, সময় নিচ্ছেন ১৬/১৭ ঘণ্টা। এখানেও যাত্রীরা নানাবিধ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া ভারতের পেট্রাপোলে স্বাস্থ্য বিভাগে অনেক সময় লাগায় বাংলাদেশি যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন।

ভারত থেকে আসতে আবার শুধু সীমান্ত পার হতেই লাগছে ৪-৫ ঘণ্টা, হয়রানির কোনো শেষ নেই। যাত্রীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন চেকপোস্ট এলাকায়। ক্যান্সার বা দুরারোগ্য রোগীদের পৃথক কোনো লাইনের ব্যবস্থা না থাকায় তারাও পড়ছেন বিপাকে। একজন যাত্রীকে বন্দর গেট থেকে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পৌঁছাতে বাংলাদেশ ভাগে দাড়াতে হচ্ছে সোনালী ব্যাংক, পোর্ট গেট, কাস্টমস স্ক্যানিং পয়েন্টে, গেট, ইমিগ্রেশন বহির্গমন ও ইমিগ্রেশন চেক আউট গেট নিয়ে মোট ৮টি লাইনে। আর এই প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগছে তিন থেকে চার ঘণ্টা। তবে কাস্টমস কর্মকত্রা নিরলস ভাবে যাত্রি সেবা দিযে যাচ্ছে যাতে কোন যাত্রি হযরানি না সে দিকে নজর জারি রেখেছেন কাস্টমস কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ বলেন, ইমিগ্রেশনে কোনো যাত্রীকে দালালের মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে না। যাত্রীরদের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত ৬টি ডেস্ক বসানো হয়েছে। আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশ পারাপার হতে সাহায্য করছি তবে পোর্ট এলাকায় প্রথম প্রবেশ পথেই বন্দরের আনসার সদস্যরা ও বন্দরের সিকিউরিটি হয়রানি করছে কি না আমার জানা নেই।

সারাবাংলা/এসএসএ

বেনাপোল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর