Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিয়েতে অসম্মতি, তরুণীকে ‘এসিড’ নিক্ষেপ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ মে ২০২২ ১৯:১৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক তরুণীকে ‘এসিড’ ছুঁড়ে ঝলসে দিয়েছে তার প্রেমিক। পুলিশ জানিয়েছে, বিবাহিত ওই যুবক বিয়ের কথা গোপন করে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানার পর তরুণীকে দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে ক্ষুব্ধ ওই যুবক তাকে এসিড ছুঁড়ে মারে। আক্রান্ত তরুণীকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৪ মে) গভীর রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ডিঙ্গললোঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।

বিজ্ঞাপন

এসিডে ঝলসে যাওয়া ওই তরুণীর নাম ইয়াসমিন (২০)। সে রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী ইউনিয়নের ডিঙ্গললোঙ্গা গ্রামের আবুল বাসারের মেয়ে।

গ্রেফতার মোহাম্মদ আজিমের (৩০) বাড়ি একই উপজেলার কোদালা ইউনিয়নে। আজিম পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, ইয়াসমিন দুই বছর আগে দশম শ্রেণিতে উঠে পড়ালেখা শেষ করেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে ফেসবুকে তার সঙ্গে আজিমের পরিচয় হয়। আস্তে আস্তে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রমজান মাস শুরুর সপ্তাহখানেক ইয়াসমিনের বড় ভাই বোনের বিয়ে দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরেন। তিনি যখন পাত্র খোঁজাখুঁজি করছিলেন, তখন ইয়াসমিন ও আজিম বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এর মধ্যে ইয়াসমিন জানতে পারেন, আজিম বিবাহিত ও তার এক সন্তান আছে।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ইয়াসমিন বিয়েতে অসম্মতি জানায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়া হয়। ইদের দু’দিন আগে ইয়াসমিন চূড়ান্তভাবে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় আজিম। গত (বুধবার) রাত দুইটার দিকে আজিম ইয়াসমিনের শোবার ঘরের জানালায় গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করতে থাকে। ইয়াসমিন জানালা খুলে উঁকি দিয়ে রেগে গিয়ে তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তখনই ইয়াসমিনের মুখে এসিড ছুঁড়ে মারে আজিম।’

বিজ্ঞাপন

পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম আরও জানান, ইয়াসমিনের দুই চোখসহ মুখমণ্ডল, দুই হাতের ওপরের অংশ, পেটের ওপরের অংশ ঝলসে গেছে। তাদের বাড়ি পাহাড়ের পাদদেশে নির্জন এলাকায়। আশপাশে কোনো প্রতিবেশি নেই। গভীর রাতে ইয়াসমিনের ভাই থানায় ফোন করে বিষয়টি জানায়। টহল পুলিশ টিম গিয়ে আক্রান্ত ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে ৩৬ নম্বর বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

এরপর রাতেই আজিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এসিড ছোঁড়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে সেগুলো আদৌ এসিড না গাড়ির ব্যাটারির পানি- সেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম।

এ ঘটনায় ইয়াসমিনের বড় ভাই বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

এসিড নিক্ষেপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর