কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের ২ মাসের ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
৬ মে ২০২২ ১১:২৭
রাঙ্গামাটি: কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে এ বছর তিন মাস সবধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে হ্রদ নির্ভরশীল রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০ উপজেলার ২৪ হাজার ৯৫৩ জেলে পরিবারকে মে ও জুন মাসের জন্য ২০ কেজি করে ৯৯৮ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে তিন মাস বন্ধকালীন সময়ের মধ্যে দুই মাসের জন্য ২০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলেও জুলাই মাসের বরাদ্দ পাননি জেলেরা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় হ্রদ তীরবর্তী রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির জেলার দশ উপজেলার ২৪ হাজার ৯৫৩টি জেলে পরিবারকে মে-জুন মাসের জন্য মাসিক ২০ কেজি হারে ২ মাসে ৪০ কেজি করে সর্বমোট ৯৯৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণের অনুকূলে মঞ্জুরি করা হয়েছে। ভিজিএফ সহায়তার আওতায় রাঙ্গামাটির আট উপজেলার ২২ হাজার ১৭৭ জেলে পরিবার ৮৮৭ দশমিক ০৮ টন ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলার ২ হাজার ৭৭৬ জেলে পরিবার ১১১ দশমিক ০৪ টন চাল পাবেন।
উপজেলাভিত্তিক হিসাব মতে, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৪ হাজার ৯৬৫ জেলে পরিবার ১৯৮ দশমিক ৬ টন; লংগদু উপজেলার ৮ হাজার ৫০৮ জেলে পরিবার ৩৪০ দশমিক ৩২ টন; বাঘাইছড়ি উপজেলার ১ হাজার ৬৯৬ জেলে পরিবার ৬৭ দশমিক ৮৪ টন; নানিয়ারচর উপজেলার ১ হাজার ৮৬৭ জেলে পরিবার ৭৪ দশমিক ৬৮ টন; কাপ্তাই উপজেলার ৭০২ জেলে পরিবার ২৮ দশমিক ০৮ টন; বিলাইছড়ি উপজেলার ১ হাজার ৭৭ জেলে পরিবার ৪৩ দশমিক ০৮ টন; জুরাছড়ি উপজেলার ৪০৭ জেলে পরিবার ১৬ দশমিক ২৮ টন ও বরকল উপজেলার ২ হাজার ৯৫৫ জেলে পরিবার ১১৮ দশমিক ২ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার হ্রদ তীরবর্তী খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার ১ হাজার ৫৯১ জেলে পরিবার ৬৩ দশমিক ৬৪ টন ও দীঘিনালা উপজেলার ১ হাজার ১৮৫ জেলে পরিবার ৪৭ দশমিক ০৪ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কাপ্তাই হ্রদ নির্ভরশীল জেলে পরিবারের জন্য আমরা দুমাসের ভিজিএফ খাদ্যশস্য বরাদ্দ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের নিকট শীঘ্রই উপ-বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা হলেও আপাতত দুই মাসের বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং বাকী এক মাসের বরাদ্দও পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এসময় হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে তিন মাস সব ধরনের মাছ শিকার, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের বরফকলগুলো বন্ধের পাশাপাশি নিয়মিত হ্রদ টহলে থাকে বিএফডিসির মনিটরিং টীম।
সারাবাংলা/এএম