Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি থেকে টুকুর অপসারণ দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ মে ২০২২ ১৩:১৫

ঢাকা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার (৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সন্ত্রাস, খুন, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জবরদখল ও দুর্বৃত্তায়নবিরোধী প্রতিরোধ কমিটি বেড়া পাবনা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

তিনি বলেন, ‘শবে কদরের দিন স্থানীয় কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে দোয়া মাহফিলের আয়োজন বাতিল করা, পরবর্তীতে আমার বাসভবন এই দোয়া মাহফিলে পুলিশের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা ভাঙচুর করে দোয়া মাহফিল পণ্ড করে শামসুল হক টুকু সংবিধান লংঘন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছেন।’

তিনি বলেন, ‘টুকুর কর্মকাণ্ড দেশ ও জাতির জন্য একটি ঘৃণিত কাজ। আমি আশা করব, সংবিধান ও শপথ লংঘন করা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য সরকার তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে।’

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘শামসুল হক টুকু সংবিধান লংঘন করেছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গণশক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। সে কারণে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ থেকে অপসারণের দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযুদ্ধা মো. আব্দুস সেলিম লতিফসহ কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আবু সাঈদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য শামসুল হক টুকু পেশাদার খুনি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ভূমি জবরদখলকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। কারণ পাবনার বেড়া ফুল ঘাট থেকে মাসে ২২ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। বিচার বিভাগীয় তদন্ত হলে এর সত্যতা স্পষ্টভাবে বেরিয়ে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমি ইফতার মাহফিল দিয়েছিলাম। টুকু সাহেবসহ এলাকার গণ্যমান্য সবাইকে দিয়েছি ইফতার মাহফিলের দাওয়াত। এ অনুষ্ঠানে যখন লোক আসতে শুরু করে তখন টুকু সাহেবের ছেলে তার দলবল নিয়ে ইফতার মাহফিলে আসা ব্যক্তিদের বাধা দেয়। যারা মানতে চাননি তাদেরকে মারপিট করে।’

তিনি বলেন, ‘মাহফিলে যারা এসেছিলেন তারা হামলার শিকার হয়েছেন। নারীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এরা মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরবর্তী সময়ে তারা আদালতে মামলা করেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী মামলার সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সেলিম বলেন, ‘সন্ত্রাসীর হামলা থেকে আমিও রেহাই পায়নি। মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে আমাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ ছিল। এমনকি আমাকে একটি পরিচয়পত্র দিয়েছেন আইজিপি সাহেব। তাই দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এই নিরাপত্তা কার্ড থাকার পরও জীবন রক্ষায় নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। আমার ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতা শামসুল হক টুকুসহ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের একটি তালিকা তুলে ধরা হয়। তারা হলেন— ইয়াসির আরাফাত পিতা-মৃত হারুন-অর-রশিদ, খালিদ পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, রাকিব পিতা নজরুল ইসলাম, ড্যন পিতা মৃত মনি, রায়হান হোসেন পিতা রফিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান পাপ্পু পিতা ফজর আলী, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন কাজল পিতা শাজাহান আলী, নজরুল ইসলাম পিতা মৃত রজব আলী মো. আব্দুল হালিম পিতা-মৃত হযরত আলী মো. আব্দুল লতিফ পিতা মৃত সৌরভ প্রামাণিক মো. মাসুদ রানা পিতা মৃত লোকমান প্রমানিক আবু সাঈদ পিতা মৃত জামাত আলী মমতা আব্দুল কাদের পিতা-মৃত আব্দুল সাত্তার মম ছাকাত হোসেন হান্নান পিতা মৃত আফসার আলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি পিতা-মৃত একরাম উল্লাহ মানিক হোসেন পিতা মৃত লুৎফর রহমান মোহাম্মদ হোসেন পিতা মৃত আবুল মাস্টার আবুল হোসেন ময়ছার গীতা ইউনুস আলী খাঁ রমজান পিতা মৃত মমতাজ আলী রাসেল পিতা হাকিম বস হাসমত মুসল্লি পিতা-মৃত রুস্তম মুসল্লী মজিবর রাশেদুল ইসলাম জানকারি আব্দুস সবুর পিতা-মৃত আজমত উল্লাহ বিপ্লব আকবর আলী পিতা আব্দুস সালাম সরদার শফি (খুনের আসামি)পিতা-মৃত লাল মাস্টার।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে নারী নির্যাতনের ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

টপ নিউজ টুকু টুকুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর