সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশি স্কলারশিপে অনিয়মের অভিযোগ
১০ মে ২০২২ ২০:৩৩
ঢাকা: ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব দ্য ডেভেলপমেন্ট প্লানিং সুপারস্ট্রাকচার ফর অ্যাসিভিং ডেভেলপড কান্ট্রি স্ট্যাটার্স (এসসিডিপিএস)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাস্টার্স ডিগ্রি স্কলারশিপে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নেওয়া এবং ডিপিপির (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) শর্ত ভঙ্গ করে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য পরিকল্পনা সচিবকে চিঠি দিয়েছে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দফতর।
গত ৯ মে প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব আবদুল আজিজের সই করা চিঠিটি সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠির একটি করে কপি সারাবাংলার হাতে এসেছে।
স্কলারশিপে অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো.কাউসার আহম্মাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। আপনি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন। এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জারি করা ছয়টি চিঠিতে যথাযথ কর্র্তপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়াই চিঠিগুলো জারি করা হয়েছে। উপরন্তু এসসিডিপিএস শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে বৈদেশিক মাস্টার্স কোর্সের দরখাস্ত আহ্বানকারী বিজ্ঞাপনের শর্তসমূহের ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। যেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ অবস্থায় বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়েজনীয় প্রশাসনিক ও শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সূত্র জনায়, এই মাস্টার্স কোর্সে সরকারি কর্মকর্তারাই সুযোগ পান। প্রতিবছর আট কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিতে এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত স্কলারশিপের আওতায় পড়ালেখা করেন শিক্ষার্থীরা। আর এই পড়ালেখার সব ব্যয় বহন করা হয় প্রকল্প থেকে।
জানা গেছে, ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা হিসেবে আইইএলটিএস পরীক্ষায় ৬ পয়েন্ট থাকার কথা। কিন্তু এবার যাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে তাদের আইইএলটিএস পরীক্ষায় সাড়ে ৫ পয়েন্টের নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রার্থীদের বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত উল্লেখ থাকলেও এবার ব্যত্যয় ঘটিয়ে এর বেশি বয়সের কর্মকর্তাদেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন ডিপিপি শর্ত ভঙ্গ করা মানে অবশ্যই অনিয়ম।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘চিঠিটা আমি হাতে পেয়েছি। এখনও তদন্ত শুরু করিনি। তবে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো অনিয়ম হলে আমরা সব সময় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকি। এখানে অবহেলা করার কিছু নেই।’
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম