Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকায় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম অনুষ্ঠিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ মে ২০২২ ২১:৫৯

ঢাকা: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের গতি বেগবান করতে দেশ-বিদেশের নীতি নির্ধারক, শিল্প খাতের নেতা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি এবং ফ্যাশন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একত্রিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) আয়োজনে এই তৃতীয় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫০ জনেরও বেশি বক্তা এবং প্রায় ২০টি দেশ থেকে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা ২০টি প্রদর্শনকারী কোম্পানি অংশ নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের (এসএএফ) উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশনের পাশাপাশি পাঁচটি প্ল্যানারি সেশনে বক্তারা পোশাক শিল্পের বর্তমান টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ইস্যু, বিশেষ করে জলবায়ু পরিকল্পনা, পরিবেশগত সামাজিক ও সুশাসন এবং সবুজ অর্থায়ন, ক্রয় অনুশীলন, আবশ্যিক প্রচেষ্টা, আইন প্রণয়ন এবং চক্রাকার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন।

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলনে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইউরোপীয় কমিশনের সামাজিক অর্থনীতি ও সৃজনশীল শিল্প ইউনিটের প্রধান আন্না আথানাসোপোলু, ওইসিডি’র দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের বিষয়ে আর্থিক খাত ও রেগুলেটরি এনগেজমেন্ট লিড সেন্টারের বারবারা বিজেলিক, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্ল্যাটফর্ম শেপিং দ্য ফিউচার অব অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ভ্যালু চেইনসের কমিউনিটি কিউরেটর ইয়ান ক্রোনিন।

বিজ্ঞাপন

আরও ছিলেন ইউএনএফসিসিসি’র সেক্টরস এনগেজমেন্ট লিড লিন্ডিটা জাফেরি সালিহু, এইচঅ্যান্ডএমের সাসটেইনিবিলিটি প্রধান প্যাসকাল ব্রুন, ইনডিটেক্সের বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রধান জেভিয়ার সানতোনজা ওলসিনা, যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল ওয়ার্কার্স রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক অ্যানার, রিমেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়েশা বারেনব্লাট, বেটার বায়িংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিসার্চ নাজেট ড্রেপার, গুড ফ্যাশন ফান্ডের টিম লিড ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট জেমা ভারহোভেন, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের হেড অব সাপ্লাই চেইন টান্সফরমেশন অ্যানাবেল মেয়ার্স এবং আইএল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেনসহ অন্যরা।

সম্মেলনে রিসাইক্লিং ও রিনিউবল এনার্জি কোম্পানিগুলোর সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সাসটেইনেবল ও গ্রিন প্রযুক্তি এবং পণ্য ও সমাধানগুলো প্রদর্শন করেন। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম থেকেও শিল্পের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সবুজ অর্থায়নের সুযোগগুলো তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বেগবান করতে এ বছরে আমরা সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের (এসএএফ) সম্মেলনে সব ফ্যাশন স্টেকহোল্ডারকে একই ছাদের নিচে এনেছি। এই ফোরামটি একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে টেকসই বিষয়ে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যগুলো কীভাবে অর্থপূর্ণভাবে, বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়ায় অর্জন করা যেতে পারে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এসএফএ’র উদ্বোধনী সেশনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা বিষয়ক বিধিনিষেধগুলো মেনে চলা ও নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সদা সতর্ক হয়েছে।

বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ও টেকসই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তারপরও শিল্পকে আরও টেকসই করার জন্য আরও করণীয় রয়েছে, যেখানে ষ্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা আর সহযোগিতাই হচ্ছে মূল বিষয়।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আজকের দিনে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো শুধুমাত্র নিরাপদই নয়, বরং সেগুলো আরও গতিশীল, আধুনিক, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চসংখ্যক সবুজ কারখানার আবাসস্থল। আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই উন্নয়ন কোনো স্প্রিন্ট নয়, এটি একটি ম্যারাথন।

কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপীয় ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের পরিচালক স্টেফানি দেয়ারস-র‌্যাটক্লিফ বলেন, সাসটেইনেবিলিটির কোনো বিকল্প নেই। এটি এখন ফ্যাশন শিল্পের জন্য অপরিহার্য। কটন কাউন্সিল শিল্পে টেকসই তুলার সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাস তৃতীয় সাসটেইনিবিলিটি অ্যাপারেল ফোরামে টাইটল স্পন্সর হিসেবে সহযোগিতা করেছে। প্যাসিফিক জিনস, কটন ইউএসএ ও কেডিএস প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে; ইপিক, লাউডেস ফাউন্ডেশন, হিগ ও এইচঅ্যান্ডএম গোল্ড স্পন্সর হিসেবে; বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ ও প্রাইম ব্যাংক সিলভার স্পন্সর হিসেবে এবং বিকাশ, ব্র্যাক, প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েটস ও রহিম আফরোজ সোলার ব্রোঞ্জ স্পন্সর হিসেবে সাসটেইনিবিলিটি অ্যাপারেল ফোরাম আয়োজনে সহযোগিতা করে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর