‘জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙে ভূমিকম্প সহনীয় করা হবে’

ঢাকা: জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙে ভূমিকম্প সহনীয় করে তৈরি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, জরাজীর্ণ ভবন আমরা ভেঙে ফেলব। জাপানের সহায়তায় ভূমিকম্প সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যেন ভবনগুলো ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় হয়ে ওঠে। আর এরই মধ্যে যেগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলো আমরা পরীক্ষা করব। কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলোকেও শক্তিশালী করা হবে।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মেকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে এসব তিনি বলেন। এখন থেকে নতুন ভবনগুলো বিএমডিসি কোড অনুযায়ী তৈরি হবে বলেও তিনি জানান।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের ঐতিহ্য ঘোষণা করা ভবনগুলোকে এই সংস্কারের তালিকায় রাখা হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেগুলো ঐতিহ্য (হেরিটেজ) হিসেবে আছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট (স্পেসিফিক) কাজের মধ্যে আছে। আমরা যেগুলোর কথা বলছি, সেগুলো আবাসিক ভবন, যেখানে মানুষ বাস করছে।

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর পর্যন্ত বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আমরা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারিনি। এখন উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করব।

এই ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে এনামুর রহমান বলেন, ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করা গেলে ৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপে সতর্কবার্তা চলে যাবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবেন, তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ডিপিপি (প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন হলে শুরু করব। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ৪০টি বসিয়েছি।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বিএসআরএফ ভূমিকম্প সহনীয় ভবন লাইটনিং অ্যারেস্টার