বাংলাদেশের সাংবাদিকরা অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে: তথ্যমন্ত্রী
১১ মে ২০২২ ১৯:০০
ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমগুলো অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। আর এই অবাধ স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ।
বুধবার (১১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওক্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সৎ সাংবাদিক, তাদের নির্ভয়ে কাজ করা দরকার। যারা সৎ সাংবাদিকতা করে, সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন ও সমালোচনা করেন- সরকার তাদের পাশে আছে। কেউ যদি সাংবাদিক হিসেবে ভয় পায়, সেক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি না। আমরা সব সময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।’
এ সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনের প্রয়োজন আছে। কারণ দেশে দেশে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সেজন্য ইন্টারন্যাশনাল ভয়েজের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এ সংগঠনটি বাংলাদেশে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর বিষয়টি আমাদের পীড়া দেয়। এমন একটি সংগঠন যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় বিবৃতি দিয়েছিল, কিন্তু পেট্রোল বোমায় মানুষ পোড়ানোর সময় তারা চোখ-কান বন্ধ করে বসে ছিল- যেটি দ্বিচারিতার উদাহরণ। বাংলাদেশ তারা পক্ষপাতদুষ্ট।’
এ সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম সূচক নিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রকাশিত প্রতিবেদনেরও সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে আফগানিস্তানে সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই, এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে সেই দেশের নিচে রাখা হয়েছে। এতেই বোঝা যায় তাদের প্রতিবেদনের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘টিআইবি যখন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া শুরু করে, তখন তাদের গ্রহণযোগ্যতা আর থাকে না।’
এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মিঠু, বর্ষীয়ান সাংবাদিক কাদির কল্লোল এবং ওক্যাবের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম