প্রখ্যাত ইউনানি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ এবং সম্প্রতি হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইউনানি চেয়ার হিসেবে নিযুক্ত অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন কাজমি হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত ইউনানি-আয়ুর্বেদিক ও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে তিনি প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রোগী দেখছেন।
হামদর্দ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা, বয়স্কদের স্মৃতিভ্রম, সাইনুসাইটিস, মাইগ্রেন, ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী চিকিৎসা নিউরো রিহ্যাবিলিটিজ, প্রিভেনটিভ কার্ডিওলোজি, ক্রনিক ডিজিস, সব ধরনের বাতের ব্যথা, স্থূলতা দূরীকরণ এবং যৌন চিকিৎসা নিরসনে তার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ নিয়ে এরই মধ্যে বিপুলসংখ্যক রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ০১৯৫৮৪৬৬০৮২ নম্বরে যোগাযোগ করে অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন কাজমি’র সিরিয়াল নেওয়া যাবে।
হামদর্দ আরও বলছে, ইউনানি পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিতে রোগীদের আগ্রহী করতে প্রতি শনি ও বুধবার হাসপাতালে মোটিভেশনাল সেশনে পরামর্শ দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন কাজমি। এর মাধ্যমে রোগীরা ইউনানি মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে আরও বেশি আন্তরিক হচ্ছেন।
ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমি হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিইউএমএস প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য বেসিক প্রিন্সিপ্যাল অব ইউনানি মেডিসিন, ফার্মেসি ও ফার্মাকোগ্নসি বিষয়ে সপ্তাহে দু’দিন ক্লাসও নিচ্ছেন।
ইউজিসির নীতিমালা অনুসরণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন ইউনানি মেডিসিনের (সিসিরাম) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। ওই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ীই ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন কাজমিকে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইউনানি চেয়ার’ হিসেবে মনোনয়ন দেয়। গত ৩১ মার্চ তিনি হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে যোগ দেন।