Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেজর মঞ্জুর হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২২ ১৯:১৮

ঢাকা: মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ’র আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

সোমবার (১৬ মে) বিকেলে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনার আদালত এ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ার আগামী ২০ জুন পরবর্তী সাক্ষ্য’র জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মামলার আসামিরা হলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ (এইচ এম) এরশাদ, প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস।

এদিন মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতে হাজিরা দেন। অপর আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের পক্ষে উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।

মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ (এইচএম) এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফের মৃত্যু হওয়ায় মুল মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৫ সালে ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ।

এর আগে গত ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর মামলাটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছালেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়।

গত ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তিনি পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ।

হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

সারাবাংলা/এআই/একে

এরশাদ টপ নিউজ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর