চট্টগ্রামে ‘অনলাইন জুয়া’ চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
১৮ মে ২০২২ ১৬:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত থেকে অনলাইনে পরিচালিত জুয়ার আসরে যুক্ত চট্টগ্রামের একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই চক্রের সদস্যরা জুয়ার গ্রাহক জোগাড় করেন। একইসঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ার আসরের অবৈধ অর্থের লেনদেন করেন। এ প্রক্রিয়ায় টাকা পাচার হয়ে যায় বিদেশেও।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার শপিং সেন্টারে রাকিব টেলিকম নামে একটি মোবাইল সার্ভিসিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন- মো. শাকিল (২৭), দিলীপ ঘোষ (৩৭), জাহিদ মিয়া (২১), মো. রুবেল (৩০) এবং মো. বাবুল (৩৫)।
তাদের কাছ থেকে অনলাইন জুয়া ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ এবং নগদ এক লাখ ২৮ হাজার ৬০৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপ অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মোস্তফা জামান সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রামে কয়েকটি চক্র ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইনে জুয়া খেলার সাইট পরিচালনা করে আসছে। পাহাড়তলী এলাকায় জুয়ার আসর পরিচালনার মাস্টার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে শাকিল। বাকিরা জুয়ার গ্রাহক সংগ্রহ করে।
মোস্তফা জামান বলেন, ‘বেটবাজ ৩৬৫ নামের জুয়া খেলার একটি ওয়েবসাইটে শাকিলের তিনটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেগুলোর মাধ্যমেই মূলত দেশের বাইরে থাকা এজেন্টদের কাছ থেকে ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনা হয়। জুয়ার গ্রাহকদের কাছ থেকে বাজির মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে সেই টাকা ডলারে রূপান্তর করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনা হয়। সেই মুদ্রার বিনিময়ে অনলাইনে জুয়া খেলা চলে। ভারত ও আমেরিকা থেকে পরিচালিত দুটি জুয়ার আসরে তাদের খেলার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। জুয়ায় হেরে গেলে সেই ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।’
কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে, এর হিসাব পাওয়া গেছে কি না? জানতে চাইলে মেজর মোস্তফা জামান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় টাকা লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে। নিষিদ্ধ প্রক্রিয়ায় কী পরিমাণ টাকা বিদেশে চলে গেছে, সেটা আরও তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে শাকিলের অ্যাকাউন্টে ৩৬৪ ডলার জমা থাকার তথ্য আমরা পেয়েছি।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম