মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষক গ্রেফতার
১৯ মে ২০২২ ১০:৫৫
ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রফাঁসের অভিযোগে অধিদফতরের দুই কর্মচারী ও এক প্রভাষককে (বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার) গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতাররা হলেন—পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. রাশেদুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উচ্চমান সহকারী মো. আহসানুল হাবীব (৪৫) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অফিস সহকারী মো. নওসাদুল ইসলাম (৩৭)।
প্রভাষক মো. রাশেদুল ইসলাম ৩৪তম বিসিএসের ক্যাডার। এ প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে শিক্ষা ক্যাডারের আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে ডিবি পুলিশ।
গত শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত মাউশির ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এর আগে প্রশ্নফাঁসে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও চাকরির পরীক্ষার্থী সুমন জমাদ্দারকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদত হোসেন সুমা জানান, গত ১৩ মে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মাউশির নিয়োগ পরীক্ষা চলছিল। এসময় একজন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে উত্তরপত্র পূরণ করছিলেন।
হলে দায়িত্বরত শিক্ষকের বিষয়টি সন্দেহ হলে পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দু’টি প্রবেশ পত্র যাচাই করেন। এরপর বিষয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে জানালে একপর্যায়ে মো. সুমন জমাদ্দার নামে ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ওয়ারী থানার অভয়দাস লেন এলাকা থেকে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের ঘটনায় জড়িত সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুমন ও সাইফুলদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর ওয়ারী থানার কে এম দাস লেন এলাকা থেকে নওসাদুল ও আহসানুলকে এবং রমনা থানার বড় মগবাজার এলাকা থেকে রাশেদুলকে গ্রেফতার করা হয়।
গত শুক্রবার (১৩ মে) মাউশির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে ৫১৩টি পদে নিয়োগে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
পরীক্ষার্থী সুমনকে গ্রেফতারের পর ইডেন কলেজের পক্ষ থেকে লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় পাঁচজনকেই গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস