মানবতাবিরোধী অপরাধ: বড়লেখার ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
১৯ মে ২০২২ ১৩:০৮
ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আবদুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামি আবদুল আজিজ ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- আবদুল মান্নান ও আবদুল মতিন। এদের মধ্যে আবদুল মতিন পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।
এসময় অন্যদের মধ্যে আদালতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, রানা দাশ গুপ্ত, ঋষিকেশ সাহা, সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ হাসান, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি, রাজিয়া সুলতানা চমন, তাপস কান্তি বল, মোসফেকুর রহমান ও তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক।
এর আগে গত ১৭ মে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের (১৯ মে) দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। তারও আগে গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল মামলাটির রায়ের জন্যে অপেক্ষমাণ রাখার (সিএভি) আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তিন আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে বড়লেখা এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এ তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয়। এবং ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর তদন্ত শেষ হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বড়লেখার এই তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ১ মার্চ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ২ মার্চ আবদুল আজিজ ও আবদুল মান্নানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
একাত্তরে দুই সহোদর আবদুল আজিজ ও আবদুল মতিন ছাত্রলীগ করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে এসে তারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। অপর আসামি আব্দুল মান্নান একাত্তরে স্থানীয় মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। বর্তমানে আবদুল মতিন পলাতক রয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ