Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে দাঁতভাঙা জবাব: আব্দুর রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ মে ২০২২ ২১:০৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ রাজনৈতিক দলগুলো যদি ফের রাজপথ দখলের অপচেষ্টা করে, যদি তারা দেশে নতুনভাবে নৈরাজ্য তৈরির অপচেষ্টা করে। রাজপথ দখলের নামে মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করে। তা হলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের চোখ-কান খোলা রেখে রাজপথ দখলে রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯) মে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউটে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘পিতা হারানোর বেদনা ও কষ্ট নিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের মাটিতে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সারা বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে এসেছিলেন। সেদিন বুকভরা কষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমার জীবনে কখনও আমি ভাবিনি রাজনীতিতে আমাকে আসতে হবে। কখনও ভাবিনি পিতা হত্যার বিচার করতে আমার জীবন উৎসর্গ করতে হবে।’

সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘ওই খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে আমি করব। বলেছিলেন, আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু) যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করতে চেয়েছিলেন, আমি তা বাস্তবায়ন করব। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাংলাদেশ পুনঃউদ্ধারের দিন। আজ তিনি যে স্বপ্ন নিয়ে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো ষড়যন্ত্র যেন বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ৭৫’এ ১৫ আগস্ট। ভোরের সূর্য তখনও আমাদের ঘরে পৌঁছায়নি। ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা শুনেছিলাম আমাদের পিতা বঙ্গবন্ধু আর নেই। তার লাশ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে পড়েছিল। সেদিন ইতিহাসের রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা আমরা দেখেছিলাম। হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ডাক পাইনি। অনেক যন্ত্রণা, বেদনা, কষ্ট ও আর্তনাদ বুকে চেপে রেখেছিলাম। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে বাংলাদেশের বুকে গুলি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেতনাকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে হত্যা করা হয়েছিল।’

আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে পকিস্তানের আদলে তৈরির ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছিল। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। জিয়া জানত না তাকেই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হবে। এমন ভাগ্যবরণ করতে হবে। তার লাশও সেদিন পাওয়া যায়নি।’

আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ আবদুর রহমান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর