Wednesday 09 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পিপলস লিজিংয়ের লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থতায় গভর্নরের পদত্যাগ দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ মে ২০২২ ১৭:৫৮

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড গ্রাহকদের ৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আমানতকারীরা। তাদের অভিযোগ, বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের আমলে দায়িত্ব পালন করা ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক শাহআলম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীদের অর্থ লুচপাটে সহায়তা করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের তার পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই বলে মনে করেন আমানতকারীরা। ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহআলমেরও পুরো পেনশনের টাকা নিয়ে অবসরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা গভর্নর ফজলে কবিরের পদত্যাগ দাবি করেন।

রোববার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র ছয় হাজার আমানতকারীর পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক ও কনভেনর মো. আতিকুর রহমান আতিক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন।

এ সময় আমানতকারী রানা ঘোষ, সামিনা চৌধুরীসহ শতাধিক আমানতকারী উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পিপলস লিজিংয়ের কয়েকশ আমানতকারী মানববন্ধন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অযোগ্যতা, অদক্ষতা, খামখেয়ালিপনা ও কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের টাকা লুট হয়েছে। আমানতকারীদের অর্থের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই আমরা ব্যর্থ গর্ভনরের পদত্যাগ চাই। সাবেক ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক শাহআলম এবং পিপলস লিজিংয়ের সাবেক এমডি পি কে হালদারের বিচার চাই। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমানতের অর্থ ফেরত পেতে আমরা অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

লিখিত বক্তব্যে আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আমাদের নিঃস্ব ও অসহায় জীবনের কথা বিবেচনা করে পিপলস লিজিংয়ে আমাদের কষ্টার্জিত আমানতের অর্থ দ্রুত ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একইসঙ্গে অবিলম্বে পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত পি কে হালদারসহ দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। বিশেষ করে পি কে হালদারকে বিদেশ থেকে এনে বিচার করা এবং পিপলস লিজিংয়ে আমানতের অর্থ লুটে দোষী ব্যক্তিরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য তাদের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, তাদের সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং গ্রেফতার করা একান্ত প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা মনে করি— বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন। পিপলস লিজিংয়ের ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আমানতের অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে তাকে রক্ষা করুন।

আতিকুর রহমান আতিক আরও বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে ফারমার্স ব্যাংকের অবসায়ন না করে পদ্মা ব্যাংক নামে পুনর্গঠন করেছে এবং বিসিআই ব্যাংককে অবসায়ন না করে ইস্টার্ন ব্যাংক নামে পুনর্গঠন করে গ্রাহকের আমানত ফিরিয়ে দিয়েছে, সেভাবেই পিপলস লিজিং পুনর্গঠন সহযোগিতা করে দ্রুত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিয়ে সরকার তার নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। পাশাপাশি নিরীহ আমানতকারীদের আমাদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে আমরা মনে করছি।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

গভর্নরের পদত্যাগ দাবি পিপলস লিজিং পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর