‘আবুল মাল আব্দুল মুহিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন’
২২ মে ২০২২ ২২:২৬
ঢাকা: সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিত একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। একজন মানুষ হিসেবে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ছিল।
রোববার (২২মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের স্মরণে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার আয়োজন করেন জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে কোনো কাজে ইন্টারফেয়ার করতেন না উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একজন গভর্নর হিসেবে আমি তিন জন অর্থমন্ত্রীকে পেয়েছি। মুহিত ভাই কখনও বলেননি এটা কোরো না, ওটা কোরো না। এভাবে বলেননি। আমার কাজে তার ছিল নো ইন্টারভেনশন, নো ইন্টারফেয়ার। তবে পরামর্শ দিতেন। তিনি সম্পূর্ণ একজন মানুষ, পরিপূর্ণ মানুষ। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মজীবন এবং কর্মজীবনে— মুহিত ভাইয়ের সঙ্গে আমার চারটি অধ্যায়।’
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়নে আবুল মাল আব্দুল মুহিত সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘যখন তিনি নীতিনির্ধারক ছিলেন তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে বৈষম্যের যে একটি ধারা সেটি কমাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। উনি সবসময় চেয়েছেন সাধারণ মানুষের উন্নতি। তিনি চেয়েছেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। পরিবেশের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছেন, শিক্ষার জন্য, স্বাস্থ্যের বাড়িয়েছেন। অনেক সময় রাজনৈতিক, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে পারেননি। তবে সবসময় উনার প্রাণ ছিল সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘একজন অর্থমন্ত্রী হিসেবে উনার ব্যাপারে আমরা অনেক লিখেছি। তবে দেখা হলে সবসময় ভালোবেসেছেন। মাঝে মাঝে প্রশংসাও করতেন। বলতেন, ভালো। চালিয়ে যাও।’
সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ছোটোবোন জাতীয় অধ্যাপক শায়লা খাতুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে তিনি আত্মনির্ভরশীলতা পছন্দ করতেন। দেশের মানুষকে শেখাতে চেয়েছেন আয় করতে হবে। স্বাবলম্বী হতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতেন, সম্মান পেয়েছেন। সবসময় চাইতেন যার যে পেশা সে সেটি করুক। কখনও অবৈধ কাজ করেননি। বই জমানো ছিল উনার ভীষণ পছন্দ। বই পড়তেন, পছন্দ করতেন। উনার ব্যক্তিগত সংগ্রহে প্রায় ৫০ হাজার বই ছিল।’
স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রমুখ।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম