Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা’

সারাবাংলা ডেস্ক
২৪ মে ২০২২ ১৬:১৯

নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তা থেকে রোহিঙ্গারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে হতাশ হয়ে পড়ছে। এর একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, এটি তাদের অনেককে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে প্ররোচিত করছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা ইউএনএইচসিআর’কে বলেন, বাংলাদেশ সরকার রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম ও ভাষার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম অনুসরণ করে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুবিধা দিচ্ছে। সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের কার্যক্রমই পরিচালনা করছে।

১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ায় গভীর বনভূমি কক্সবাজারের উখিয়ার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, তাদের আশ্রয় দিতে গাছ কাটার কারণে বনভূমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এতে এলাকার পরিবেশগত বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।

প্রতি বছর ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভাসানচরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তুলেছে। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে অস্থায়ী আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে।

সাক্ষাতে বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে শেখ হাসিনার আশঙ্কার সঙ্গে বৈঠকে একমত হন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। মিয়ানমার সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে তিনি বর্তমান মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করেছেন। মিয়ানমারের বর্তমান সরকার প্রত্যাবাসন শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।

রোহিঙ্গা ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আফগানিস্তান ইস্যু বিশ্বব্যাপী শরণার্থীর সংখ্যা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে বলে জানান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। বিপুলসংখ্যক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন তিনি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

ইউএনএইচসিআর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর