Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নভেম্বরে চূড়ান্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ মে ২০২২ ২০:০০

ফাইল ছবি: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

ঢাকা: বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে এ খাতের উন্নয়নে হালনাগাদ হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। যার খসড়া আগামী অক্টোবরেই চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, নভেম্বরে অংশীজনদের সঙ্গে সভা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।

বুধবার (২৫ মে) সচিবালয়ে সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মহাপরিকল্পনার সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে জাইকার স্টাডি টিমের সঙ্গে আলোচনায় এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যু, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমন্বিত মহাপরিকল্পনা হতে হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির টেকসই অবকাঠামো বিনির্মাণের ভিত্তি। দক্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জ্বালানি সম্পদের চাহিদা ও সরবরাহের সর্বোত্তম সমন্বয় থাকবে। আগামীর সম্ভাব্য সমস্যা এবং তার সমাধান থকবে এখনই।’

তিনি বলেন, ‘ফুয়েল মিক্সে প্রচলিত জ্বালানির সঙ্গে আগামীর সম্ভাব্য জ্বালানির প্রতিফলন থাকা বাঞ্ছনীয়। বিদ্যুৎ বা গ্যাস ব্যবহারের অপরচুনিটি কস্ট ও কৃষি বা শিল্পে ব্যবহার প্যাটার্নও এখানে থাকতে পারে।’

এ সময় দ্য ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনোমিকস, জাপান (আইইইজি) কর্তৃক প্রণীত মহাপরিকল্পনার স্টাডি টিমের প্রধান ইচিরো কুতানি সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ে আলোকপাত করেন। চাহিদার পূর্বাভাস, চাহিদা ও সরবরাহের সমন্বয়, রেফারেন্স দৃশ্যকল্প, নেট-শূন্য দৃশ্যকল্প, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দৃশ্যকল্প, জ্বালানি সংরক্ষণ, সাশ্রয়ী নবায়ণযোগ্য জ্বালনি, জ্বালানির বৈচিত্রকরণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় বৈঠকে।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, ‘যানবাহন বা ট্রেন বিদ্যুতে চলাচলে বা গ্রিন হাইড্রোজেন নিয়েও এ মহাপরিকল্পনায় সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা থাকতে হবে। ইন্ডাকশন কুকার বা সোলার সেচ পাম্প নিয়েও কাজ করা যেতে পারে। ক্লিন এনার্জি পোর্টফোলিও উত্তরোত্তর বাড়ানোর প্রতিকল্প যেন থাকে।’

বিজ্ঞাপন

নসরুল হামিদ বলেন, ‘সাশ্রয়ীমূল্যে আমরা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করতে চাই। জ্বালানির একাধিক বিকল্প উৎস থাকা বাঞ্ছনীয়। বৈচিত্রময় জ্বালানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে বিদ্যুৎ-জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিয়েও আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল এবং টেকসই নবায়ণযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গবেষণা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি জাইকার সঙ্গে কাজ করলে আরও বাস্তবসম্মত ফল পাওয়া যাবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাইকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তোশিয়ুকি কোবাইয়াশ ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি তারো কাৎসোরাই।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

নভেম্বর বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

সম্পর্কিত খবর