বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমস-মাইলসের মামলা প্রত্যাহার
২৬ মে ২০২২ ১২:০৬ | আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ২১:৫১
ঢাকা: টেলিকম অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট ভঙ্গের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ব্যান্ড সংগীতের জগতে ‘গুরু’ নামে খ্যাত জেমস। মাইলস ব্যান্ডও একই অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে দুই মামলার দুই বাদী নগরবাউল ব্যান্ডের জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের হামিন আহমেদ নিজ নিজ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
শুনানিতে সময় মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ আদালতকে বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইটভঙ্গের অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। এখন আর আমরা মামলাটি পরিচালনা করতে চাচ্ছি না।
আরও পড়ুন-
বাংলালিংকের আইনজীবী মো. মতিউর রহমান মামলা প্রত্যাহারের তথ্য জানিয়ে বলেন, বাদীরা স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
দুই মামলাতেই আসামি ছিলেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস, প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর। শুনানির সময় মামলার চার আসামিই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত বছরের ১০ নভেম্বর বাংলালিংকে বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনভঙ্গের অভিযোগ এনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন নগরবাউলখ্যাত জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ। ওই সময় মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত চার জন বাদে পঞ্চম আসামি ছিলেন বাংলালিংকের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া। তিনি নিজ দেশে চলে গেছেন এবং আর বাংলাদেশে ফিরবেন না বলে বাদীপক্ষ তাকে মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল।
মাইলসের দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, তাদের লেখা ও সুর করা ’নীলা’ ও ’ফিরিয়ে দাও’ গান দুইটি বাংলালিংক তাদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। অন্যদিকে, জেমস তার মামলায় ’দুঃখিনী দুঃখ কোরো না’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’ ও ‘যার যার ধর্ম’ গানগুলো নিয়ে একই অভিযোগ উত্থাপন করেন। এর ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।
সারাবাংলা/এআই/এনএস/টিআর
জেমস নগরবাউল জেমস বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা মাইলস মানাম আহমেদ মামলা প্রত্যাহার হামিন আহমেদ