যুবলীগের সম্মেলন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, কমিটি ‘ঢাকা থেকে’
২৬ মে ২০২২ ২১:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে যুবলীগের তিন জেলা ইউনিটের সম্মেলন অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপে সরগরম শহর। তিন সাংগঠনিক জেলায় শুধুমাত্র সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আগ্রহ দেখিয়ে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী। তবে সম্মেলনেই পদপ্রত্যাশীদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না, এমন আভাস মিলেছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কথায়। চট্টগ্রামে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।
আগামী শনিবার (২৮ মে) দক্ষিণ জেলার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে যুবলীগের সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এদিন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৯ মে) হাটহজারী উপজেলার পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হবে। সোমবার (৩০ মে) নগরীর পাঁচলাইশে কিং অব চিটাগং কনভেনশন সেন্টারে মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা তিন দিনের কর্মসূচি শেষ হবে।
সম্মেলন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি হওয়ায় সম্মেলনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তারা। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণে যুবলীগের বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতারা শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কিছু সুপারিশ করেন।
এর আলোকে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের একটি নির্দেশনা জারি করেন। এতে বলা হয়েছে, সম্মেলনস্থলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও নামে স্লোগান দেওয়া যাবে না। এছাড়া কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার নিয়ে প্রবেশ বা প্রদর্শন করা যাবে না।
জানতে চাইলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘তিন সাংগঠনিক জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি আমরা প্রায় সম্পন্ন করেছি। চট্টগ্রামে আমাদের একটি টিম গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছে। উনারা সবকিছু দেখভাল করছেন। সর্বশেষ যে নির্দেশনাটা আমরা দিয়েছি সেটা হচ্ছে, আমরা হাউজের ভেতরে কোনো ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন অ্যালাউ করব না। বঙ্গবন্ধু, শেখ ফজলুল হক মণি এবং শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও নামে কোনো স্লোগান অ্যালাউ করব না। এগুলো হাউজের ভেতরে করলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’
সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাড়ে চার হাজার ডেলিগেট, এক হাজার অতিথিসহ মোট সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাউজের ভেতরে-বাইরে মিলিয়ে ৩০ হাজারের মতো জনসমাগম হতে পারে। শৃঙ্খলার বিষয়টাতে আমরা সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় যুবলীগের পক্ষ থেকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কিছু নির্দেশনা এসেছে। সেগুলো যাতে অক্ষরে-অক্ষরে পালন হয়, সেজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব।’
উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলম ও দক্ষিণের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী জানিয়েছেন, তাদের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের টিম সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যুবলীগের পদ পাওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা এবার যেভাবে ‘হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন’, তা নিকট অতীতে দেখা যায়নি- বলছেন সংগঠনটির সাবেক নেতারা। পদপত্যাশীদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা বেশি। ব্যবসায়ী, ঠিকাদারও আছেন অনেকেই।
তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। সম্মেলনের প্রস্তুতি তদারক করতে আসা যুবলীগের কেন্দ্রীয় টিমের নেতারা থাকছেন নগরীর কাজির দেউড়িতে রেডিসন হোটেলে। এর আশপাশের এলাকার গোলচত্বর, সড়ক বিভাজকগুলোতে শুধু পোস্টার আর ব্যানার। রেডিসনে ভিড় করে আছেন পদপ্রত্যাশীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার তো চলছেই, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
২০০৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে চন্দন ধরকে সভাপতি ও মশিউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর যুবলীগের কমিটি হয়। সেই কমিটি বিলুপ্ত করে ২০১৩ সালের ৯ জুলাই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১০১ সদস্যের কমিটির মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। এর মধ্যে সম্মেলন করে নিয়মিত কমিটি করার কথা বলা হলেও গত নয় বছরে তা হয়নি।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩০ মে অনুষ্ঠেয় নগর যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১১৪ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন সভাপতি এবং ৭৬ জন সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য। পদপত্যাশীদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের আধিক্য আছে।
সভাপতি পদে নগর যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির দুই যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন ও দিদারুল আলম জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। একই পদে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা দেবাশীষ পাল দেবু, শেখ নাসির উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন ও হাসান মুরাদ বিপ্লব, সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাভু, দিদারুল আলম, সুমন দেবনাথসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তারেক, আরশেদুল আলম বাচ্চু, সনৎ বড়ুয়া, ইয়াছির আরাফাত, নগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু করোনা আইসোলেশান সেন্টারের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন, আবু নাছের চৌধুরী আজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনসহ অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদেও সাবেক ছাত্রনেতাদের আধিক্য আছে। এদের অনেকেই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। উত্তরে সভাপতি পদে নয় জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী হয়েছেন।
উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে জেলা যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম, উত্তর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বপন, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিব উল আহসান সুমন ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির হায়দার করিম বাবুলসহ আরও কয়েকজন আছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনজুর আলম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাশেদ খান মেনন, সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, এসএম আল নোমানসহ আরও কয়েকজন।
২০০৩ সালে উত্তর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সৈয়দ মফিজ উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি এবং এস এম শফিউল আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১২ সালে সম্মেলন ছাড়াই এস এম আল মামুনকে সভাপতি ও এস এম রাশেদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছে ২০১০ সালে। আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরীকে সভাপতি ও পার্থসারথী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এবার দক্ষিণে সভাপতি পদের জন্য ১৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ৩৯ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সভাপতি পদে বোয়ালখালীর পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম জহুর, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক পার্থসারথী চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুক, নাসির উদ্দিন মিন্টু, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আমিন, চন্দনাইশ যুবলীগের আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম, এমএ রহিম আছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আমিন, আবদুল হান্নান লিটন, মোহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, রাজু দাশ হীরু, মাহাবুবুল আলম, এস এম আজিজ ও জাহেদুল ইসলাম।
সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগের বিদ্যমান কমিটিতে বিভিন্ন পদে থেকে যারা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন, সেগুলো গ্রহণ করা হবে না বলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পদের জন্য এমন দৌড়ঝাঁপ কেন? জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক এক নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘নগরে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০০৩ সালে। তখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায়। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে আমরা দৌড়ের ওপর ছিলাম। এভাবে পোস্টার দিয়ে নিজের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেব, সেটা কল্পনাও করিনি। তখন রাজনৈতিক সংস্কৃতিও পুরোপুরি এমন ছিল না। আমাদের নেতা মহিউদ্দিন ভাই (এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী) কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সম্মেলনস্থলেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছেন। আমরা মেনে নিয়ে কাজ করেছি। এখন দল ক্ষমতায়। সবার মধ্যেই প্রত্যাশা আছে নেতা হওয়ার। সেজন্য দৌড়ঝাঁপও বেশি।’
তবে দৌড়ঝাঁপ চরমে উঠলেও পদপ্রত্যাশীরা সম্মেলনস্থলে তাদের কাঙ্খিত ঘোষণা পাচ্ছেন না, এমন আভাসই বেশি পাওয়া গেছে। ২০২১ সালের জুনে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণা করা হয় ঢাকা থেকে। তাও আবার নয় মাস পর চলতি বছরের মার্চে। যুবলীগের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন হবে। কাউন্সিল অধিবেশনও হবে। কাউন্সিলরদের মতামত শোনার পর বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগে আমরা পরিস্থিতি দেখি। যদি সম্ভব না হয়, কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাউন্সিল অধিবেশনে প্রার্থিতা ও সমর্থন ঘোষণা করা হবে। এরপর কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণার প্রস্তাব পাস করা হবে। এখানে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কিংবা অন্যান্য পদে নাম ঘোষণা করা হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম