মাউশি’র সব অফিসে সচল হবে অভিযোগ বক্স
২৬ মে ২০২২ ১৯:৩১
ঢাকা: সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগ ও এর অধীন সব দফতর ও সংস্থায় অভিযোগ বক্সগুলো সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক।
তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযোগ বক্সের চাবি থাকবে অফিস প্রধানের কাছে। তিনিই খুলবেন। মাসে একবার খোলা হবে এই অভিযোগ বক্স। খোলার পরে কোনো কিছু না পড়েই প্রতিটি অভিযোগ আগে রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। প্রতি মাসে অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতির প্রতিবেদন এবং তা প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্ত সুপারিশমালার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
মাউশি সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে সভায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং এর অধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সচিব মো. আবু বকর সবার উদ্দেশে বলেন, শিক্ষা সব কিছুর ওপরে। আমরা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যদি আলোকিত না হই, তাহলে অন্যরা কীভাবে আলোকিত হবে? আমাদের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। আমাদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মাউশি সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মও দুর্নীতির তথ্য উদঘাটনের দায়িত্ব পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের। মূলত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির পঙ্কিলে নিমজ্জিত হওয়ার অভিযোগ করেছে দুদক। তিনি গত ১০ বছরে দুর্নীতি অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠান কার্যকর কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
এছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কোনো কর্মকর্তা বেনামে ঠিকাদারিতে জড়িত কি না, তার তথ্য জানতে চেয়েছেন মাউশি সচিব। পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের টেন্ডার প্রক্রিয়া, পাঠ্য বইয়ের পাণ্ডুলিপি কিছু প্রকাশকের কাছে অননুমোদিতভাবে সরবরাহসহ অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সারাবাংলা/টিএস/টিআর