Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যে অভিযোগে ছাত্রলীগের ৩২ নেতার নামে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২২ ১৮:০১

ঢাকা: রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকার দোয়েল চত্বরে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন রহমানসহ ৩২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মানসুরা আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মারধর, হত্যা চেষ্টা, মোবাইল ও টাকা-পয়সা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ৩০৬, ৩২৩, ৩২৬, ৩৭৯, ৪৪৭, ৫০৬, ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে মামলার আবেদন করেন বাদী।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্রী। গত ২৬ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে।

একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে আশ্রয় নিলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর তাদের হাতে থাকা লোহার রোড, রাম দা, চাপাতি, বাশের লাঠি দ্বারা আঘাত করে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন এবং এলোপাতারি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

এজাহারে উল্লেখ করা হয় হামলার নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মানসুরা আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া হলের সভাপতি তারেক হাসান মামুন, বিজয় একাত্তর হলের সহ-সভাপতি তানভীর আজাদী, ঢাকা কলেজের সভাপতি শাহীনুর শাহীন, সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলা কলেজের কর্মী আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের কর্মী শিহাব উদ্দিন শিহাব, মাসুদ এবং কবি নজরুল কলেজের নাহিদসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি আল আমিন রহমান এর হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করলে মামলার বাদী হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এরপরও আসামি রাশেদ ফেরদৌস আকাশ তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আঘাত করতে থাকেন। তখন নাজিমুদ্দিন এবং তিলোত্তমা শিকদার এর হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মামলার বাদী মানসুরা আলমকে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকেন।

তখন বাদী নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করিতে থাকেন। বাদীর হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ জখমপ্রাপ্ত হয়। একপর্যায়ে মামলার বাদী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার গলায় থাকায় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ৪ নং আসামি তিলোত্তমা শিকদার ও ৫ নং আসামি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ছিনিয়ে নেয়।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়— আসামি সামাদ আজদা জুলফিকার এর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করতে থাকেন। আসামি আমানুল্লাহ আমান এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া হলের সভাপতি তারেক হাসান মামুনকে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি মাথায় এবং শরীরে আঘাত করতে থাকেন।

আসামি শামীম পারভেজ এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তানভীর আজাদীকে গুরুতর জখম করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। আসামি আব্দুল্লাহ ছিল বারী এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে দোয়েল চত্বরের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের কর্মী শিহাব উদ্দিন শিহাবকে হত্যার উদ্দেশ্য বেড়ধক মারধর শুরু করেন। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন অংশ জখমপ্রাপ্ত হন। আসামি নাজির, শাহিন তালুকদার, খান মোহাম্মদ শিমুলদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি এবং সাদ্দাম হোসেন, অভিজ্ঞান দাস অন্ত, এনায়েত এইচ মনন, ইমদাদুল হাসান সোহাগ দের হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে ছাত্রদল নেতা মাসুদকে হত্যার উদ্দেশ্য এবং গুরুতর জখম করার এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, এ ছাড়া আসামি রাকিব হোসেন, মজিবুল বাশার, নাজিমুদ্দিন সাইমুন, সৈয়দ ইমাম বাকের দের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে ঢাকা কলেজের সভাপতি শাহীনুর শাহীন হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন এবং আসামি মাহমুদ চৌধুরী, শরীফ আহম্মেদ, আব্দুর রহিম, সাজ্জাদ, মিজানুর রহমান পিকুলদের হাতে থাকা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে ছাত্রদল নেতা সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ কে গুরুতর জখম ও হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি আঘাত করেন মাথায় এবং হাতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। আসামি রকিব, মজিবুল বাশার, নাজিমুদ্দিন সাইমুন ছাত্রদল নেতা সাহাব উদ্দিন আহম্মেদতে সজোরে লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।

এ সময় তাদের বাঁচাতে পথচারী ও সাংবাদিকরা এগিয়ে এলে আসামিরা তাদের ওপর চড়াও হন। আসামি সায়েম, রিয়াজ, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল, ইয়াসির আরাফাত টিটু, মনিম শাহরিয়ার, নাহিদ সাদি, ঐশিক শুদ্র, সৌরভ চক্রবর্তী দের হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ছাত্রদল নেতা কবি নজরুল কলেজের নাহিদ কে গুরুত্বর জখম ও হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। এ সময় আসামি সায়েম এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আসামি রিয়াজ এবং মাহবুবুর রহমান এর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আঘাত করিতে থাকেন এবং আসামী মাহবুবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল, ইয়াসির আরাফাত টিটু, মনিম শাহরিয়ার, নাহিদ সাদি, ঐশিক শুভ্র, সৌরভ চক্রবর্তী লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন ।

সারাবাংলা/এআই/একে

ছাত্রদল টপ নিউজ মামলা মামলার বাদী হামলা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

বাড়তে পারে তাপমাত্রা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৪

সম্পর্কিত খবর