Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সংবাদ প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন কোনো আইন হবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ মে ২০২২ ১৫:২৮

ঢাকা: স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, বাংলাদেশে এমন কোনো আইন হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধাসৃষ্টি করে এমন কোনো আইন বাংলাদেশে করা হবে না।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধানে বাক স্বাধীনতার বিষযটি নিশ্চিত করেছেন। এটি মৌলিক অধিকার হিসাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পৃথিবীর অনেক পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশেও সাংবাদিকরা সংগ্রাম করে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করছেন। কিন্তু জাতির পিতা বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসাবে ১৯৭২ সালেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তথা বাক স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যেটা আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে গ্যারান্টি দেওয়া আছে। ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেখানে সংবিধানে বাক স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সেখান তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করবেন- এমনটা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৮৫ সালের পর থেকে সারাবিশ্বে নতুন নতুন প্রযুক্তি এসেছে। এই প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতার ধরনেরও পরিবর্তন এসেছে। আগে যেসব পত্রিকার সার্কুলেশন তিন/চার লাখ ছিল বর্তমানে তা ৩০/৩৫ হাজারে নেমে এসেছে। কারণ বেশিরভাগ পাঠক এখন অনলাইন নিউজ পড়ছেন। ফলে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তবে এইসব অনলাইন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে যা খুশি তা করতে ও লিখতে না পারে সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটিজ অ্যাক্টসহ কিছু আইন করা হযেছে।’

বিজ্ঞাপন

আনিসুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটিজ অ্যাক্ট স্বাধীনভাবে সংবাদ পবিবেশন বাধাগ্রস্থ করার জন্য করা হয়নি। সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই আইন করা হয়নি। মূলত ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলায় এই আইন করা হয়েছে। এখানে ২১ ধারায় বাংলাদেশের সংবিধান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় পতাকা, মুক্তিযুদ্ধ এসব বিষয়ে যাতে কেউ কোনো ধরনের কটূক্তি করতে না পারে তার কথা বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের মৌলিক বিষয় নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করা হয়। এগুলো নিয়ে যাতে কেউ বিকৃতরুচির কোনো কিছু করতে না পারে সেজন্য ২১ ধারায় কিছু শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।’ সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে সমাজকে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে- এসব প্রতিহত করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটিজ অ্যাক্ট করা হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামিন অযোগ্য ধারা মানে এই নয় যে, কেউ জামিন পাবেন না। জামিনে অযোগ্য মানে হলো আদালত থেকে জামিন নিতে হবে। থানা থেকে নয়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন আদালত থাকার পরও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর একটি এফআর করাও সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর এফআর করা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ আইনের শাসনের বাইরে ছিলে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন কায়েম করছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করছে।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর