Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জালিয়াতি করে লিখিত পরীক্ষা পার, মৌখিকে এসে ধরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০২২ ২০:৫২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়োগ পরীক্ষা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ছাত্রদের ভাড়ায় এনে লিখিত পরীক্ষায় উৎরে যান কয়েকজন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে নিয়োগ কর্তারা যখন হাতের লেখা ও মেধা যাচাই শুরু করেন, তখনই ঘটে বিপত্তি। শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যান ২১ জন। তাদের মধ্যে ধরা পড়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে দু’জন আবার চাকরিপ্রার্থীই নন, অন্যের হয়ে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও চার জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) তৌহিদুল ইসলাম।

বুধবার (১ জুন) সকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে জেলা প্রশাসনের নিয়োগ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করে। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা ও ছয়টি মহানগর সার্কেলের ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে এই নিয়োগের আয়োজন চলছিল।

এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত ১১ মার্চ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৮ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে ২৩৭ জন উত্তীর্ণ হন। তাদের বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত দেন, মৌখিক পরীক্ষাতেও তাদের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ভিত্তিতে হাতের লেখা, দক্ষতা ও মেধা যাচাই করতে হবে।

‘আমরা যখন উত্তরপত্রের সঙ্গে হাতের লেখা এবং মেধা যাচাই ‍শুরু করি, দেখা গেল অনেকের লেখা একেবারে মিলছে না। অনেকে লিখিত পরীক্ষায় গণিতের সঠিক উত্তর দিলেও আমাদের সামনে সেটি আর মেলাতে পারছেন না। অনেকে একটি বাক্যও ইংরেজিতে শুদ্ধভাবে লিখতে পারছেন না। তখন দেখলাম কেউ কেউ ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যাচ্ছেন। এভাবে ২১ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ১৫ জনকে আমরা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি,’— বলেন তৌহিদুল ইসলাম।

আটক ১৫ জন হলেন— মো. ইব্রাহীম, নাইমুল ইসলাম, মুরশেদুল আলম, মো. জুনায়েদ, বিপ্লব সুশীল, মনিদীপা চৌধুরী, মোজাম্মেল হোসেন, আলী আজগর, তন্ময় দে, নন্দন দাশ, মান্না দাশ, প্রীতম চৌধুরী, শেখর দাশ, রহিম উদ্দিন ও আসাদুজ্জামান।

এনডিসি বলেন, ‘আসাদুজ্জামান চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের এমবিএ শিক্ষার্থী। মনিদীপা চৌধুরীও শিক্ষার্থী। তারা দু’জন নিয়োগ প্রার্থীই নন। তারা অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। আটক বাকি ১৩ জনও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। জিজ্ঞাসাবাদে আটক নিয়োগ প্রার্থীরা জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ভালো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এনে লিখিত পরীক্ষায় বসিয়ে দিয়েছিলেন তারা। প্রবেশপত্র ফটোশপ করে তাদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

আটক ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ মামুন।

এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, আসাদুজ্জামানকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১০ জনকে এক সপ্তাহ করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চার জনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

টপ নিউজ নিয়োগ পরীক্ষা নিয়োগে জালিয়াতি মৌখিক পরীক্ষা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর