মাদক মামলায় পরীমনিকে হাজিরা দেওয়া লাগবে না
২ জুন ২০২২ ১৪:১১
ঢাকা: চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনি বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় আপাতত সশরীরে আদালতে উপস্থিত হতে হবে না।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে ঢাকার বিশেষ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এই আদেশ দেন।
এদিন মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। সকালে আদালতে হাজির হন পরীমনি। মামলার বাদী র্যাব-১ এর ডিএডি মজিবর রহমানকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর আদালত আগামী ১৯ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
গত ১ মার্চ মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন।
এর আগে গত ১২ মে পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে শুনানির তারিখ ২ জুন ধার্য করেন। এদিন শুনানি শেষে আদালত পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করেন। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দিবেন।
পরীমনি পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হাওলাদার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারী পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হাওলাদার। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
গত ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকাল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ১৯ আগস্ট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন পরীমনি কারামুক্ত হন।
সারাবাংলা/এআই/এসএসএ