নিখোঁজের ৫ মাস পর মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার
২ জুন ২০২২ ১৯:১১
ঢাকা: কেরানীগঞ্জের সোনা ব্যবসায়ী অনুপ বাউল নিখোঁজ হওয়ার ৫ মাস পর সিরাজদিখানের বিসিক কুটির শিল্প নগরীর বালির নিচে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা নয়নের স্বীকারোক্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ঢাকা জেলা পিবিআই ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ দল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোনা ব্যবসায়ী অনুপ বাউলের পিতার নাম মৃত কানাই বাউল। সে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের পাইনা গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকার তাঁতীবাজারে অনুপ বাউলের সোনার দোকান রয়েছে। ঘাতক নয়ন নিহত অনুপের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই বিপ্লপ বাউল বলেন, ‘বড় ভাই অনুপ বাউল গত ৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ভাড়ালিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে ব্যবসায়িক পার্টনার নয়নের কাছে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার কোনো হদিস মেলেনি। পরে আমি বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি। এছাড়াও র্যাব-১০ এর প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই।’
নিহতের স্ত্রী সুবর্না বাউল বলেন, ‘পাওনা টাকা আনতে গিয়েই আমার স্বামী খুন হন। নয়ন আমার স্বামীর ব্যবসায়িক পার্টনার ছিল। দুই লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অনুপকে হত্যা করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
পিবিআই এর ঢাকা জেলার এসপি খোরশেদ আলম জানান, নয়নের বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামে। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে প্রথমে নয়ককে আটক করা হয়। পরে নয়নের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বিসিক কুটির শিল্প নগরীর ভরাটকৃত ১৫ ফুট বালুর নিচ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসপি খোরশেদ আলম জানান, মরদেহ পুঁতে রাখার জন্য যে ভেকুটি ব্যবহার করা হয়েছিল তার চালক রিপনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সারাবাংলা/একে