বিএলআরআইয়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স রেফারেন্স ল্যাব
৯ জুন ২০২২ ১৪:২১
আশুলিয়া(ঢাকা): সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) অবস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) গবেষণাগারকে রেফারেন্স ল্যাবরেটরি বা এএমআর রেফারেন্স ল্যাবরেটরি (রিসার্চ) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এই স্বীকৃতি লাভ করে।
এ বিষয়ে বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের ব্যাপার। এজন্য আমি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সম্মানিত সচিবদের ধন্যবাদ জানাই। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে যদি এই মুহূর্তে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ধারণা করা হয় ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ৩০০ মিলিয়ন মানুষ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের কারণে মৃত্যুবরণ করবে। এএমআর প্রতিরোধে কার্যকরভাবে লড়াইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেছেন বিএলআরআইর ল্যাবটি একটি রেফারেন্স ল্যাব হিসেবে সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
অনাগত এই ঝুঁকি রুখতে বিশ্বব্যপী গবেষকরা কাজ করে চলেছেন, আর এএমআর সংক্রান্ত ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স’ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে এর নেতৃত্ব প্রদান করছেন স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এএমআর প্রতিরোধে কার্যকরভাবে লড়াইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেছেন বিএলআরআই’র ল্যাবটি একটি রেফারেন্স ল্যাব হিসেবে সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
এর আগে, ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গবেষণাগারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আন্তর্জাতিক মানের এই গবেষণাগারটিতে স্বয়ংক্রিয় এইচভিএসি, পাওয়ার ব্যাকআপ ও অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেমসহ চারটি পৃথক পৃথক ইউনিট আছে। যেমন মিডিয়া প্রস্তুত (৩০ পিএসআই পজিটিভ চাপ), নমুনা প্রসেসিং (২০ পিএসআই নেগেটিভ চাপ), ইনোকুলেশন ও এএসটি (৩০ পিএসআই নেগেটিভ চাপ) । এছাড়াও গবেষণাগারটিতে রয়েছে ভিটেক-২, স্বয়ংক্রিয় কলোনী কাউন্টার ও জোন অব ইনহিবিশন রিডার, স্বয়ংক্রিয় ডাইলুটার এবং পেটার, স্বয়ংক্রিয় মিডিয়া ডিসপেন্সারসহ অন্যান্য আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিএলআরআইর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স গবেষণাগারটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাণি ও পোল্ট্রি ফুড ভ্যালু চেইন এবং পরিবেশে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’র উৎস এবং বিস্তারের কারণ, বিস্তার প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এপিডেমিওলজিস্ট মাইক্রোবায়োলজিস্ট, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকদের একই ছাদের নিচে একীভূত করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় ‘ওয়ান হেলথ’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স গবেষণাগার থেকে প্রাণি ও প্রাণিজাত এবং পোল্ট্রি ও পোল্ট্রিজাত খাবার থেকে জীবাণু শনাক্তকরণ, অ্যান্টিবায়োটিকের সংবেদনশীলতা পরীক্ষণ, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা পরামর্শ ও সচেতনতা বাড়ানোর সহায়তা দেওয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এগ্রো-প্রসেসিং শিল্প-কারখানা, সাধারণ খামারি, তরুণ উদ্যোক্তা, এনজিওসহ সব প্রতিষ্ঠান উক্ত গবেষণাগারের সেবা নিতে পারেন।
সারাবাংলা/একেএম