তিউনিসিয়ার সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকছে না
১০ জুন ২০২২ ২১:৪৩
তিউনিসিয়ার সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ দেশটির সংবিধান নতুন করে লেখার উদ্যোগ নিয়েছেন। সংবিধানের খসড়া তৈরির জন্য যাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নতুন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকছে না।
২০১১ সালে আরব বসন্ত বিপ্লবের পর দেশটির গৃহীত সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ‘তিউনিসিয়া একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র যার ধর্ম ইসলাম এবং যার ভাষা আরবি।’
তবে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ গত মাসে সংবিধান নতুন করে লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটির প্রধান করা হয় ৮৩ বছর বয়সী আইন বিশেষজ্ঞ সাদেক বেলাইদকে। উল্লেখ্য যে, সাদেক বেলাইদ একসময় প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদের শিক্ষক ছিলেন।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডিল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জুলাইয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে অনুমোদনের জন্য সংবিধানের খসড়া জমা দেবেন সাদেক বেলাইদ। খসড়া সংবিধানে বর্তমান সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে।
রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদেক বেলাইদ বলেছেন, ‘তিউনিসিয়ার ৮০ শতাংশ নাগরিক চরমপন্থার বিরুদ্ধে এবং তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ধর্মকে ব্যবহারের বিরোধিতা করে।’
খসড়া সংবিধানে ইসলাম ধর্মের কোনো উল্লেখ থাকবে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে, ওই আইনজ্ঞ জবাবে বলেন, ‘এমন কিছু সেখানে থাকবে না।’
তার সাক্ষাৎকারে বেলাইদ বলেন, ‘আপনি যদি রাজনৈতিক চরমপন্থায় জড়িত হওয়ার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করেন তবে আমরা তা হতে দেব না। আমাদের রাজনীতিতে কিছু নোংরা দল রয়েছে। আপনি পছন্দ করুন আর না করুন, আমরা এমন লোকদের মেনে নেব না।’
উল্লেখ্য যে, উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসায়ী। বাকি প্রায় ২ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান, ইহুদী বা অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।
সারাবাংলা/আইই