২ আইনজীবীর রিমান্ড: নথি তলবের আদেশ চেম্বারে স্থগিত
১২ জুন ২০২২ ১৮:১৩
ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় দুই আইনজীবীর রিমান্ড মঞ্জুরের পর ওই মামলার নথি তলব করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রোববার (১২ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
নথি তলবের বিষয়টি আজ (রোববার) হাইকোর্টে শুনানির জন্য উঠলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার আদালতকে জানান, সকালে বিশেষ চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন। আগামীকাল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আদালত শুনানি মুলতবি করেন।
আরও পড়ুন- পুলিশের ওপর হামলা: নারী আইনজীবীর জামিন, ৫ জন ৩ দিনের রিমান্ডে
এর আগে, রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় দুই আইনজীবীকে (এক জন শিক্ষানবিশ আইনজীবী) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট করেন আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ৯ জুন মামলার নথি তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিমান্ড কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেন।
আগের আগের দিন ৮ জুন জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দুই আইনজীবীসহ পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহাবুল ইসলাম রনি ও তার শ্যালক আইনজীবী ইয়াসিন আরাফাত এবং স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরীফ, মো. নাহিদ ও মো. রাসেল।
আরও পড়ুন- পুলিশের ওপর হামলা: আইনজীবীর রিমান্ড আদেশে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সেদিন ওই মামলার একমাত্র নারী আসামি আইনজীবী ইয়াসিন জাহান ভুইয়া নিশানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে রিমান্ডের আদেশও আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ৭ জুন রাজধানীর জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টো পথে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন সার্জেন্ট আলী হোসেন। এসময় তার সঙ্গে বিতর্কে জড়ান মোটরসাইকেলের চালক সোহাগ উল ইসলাম রনি ও আরোহী তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এ সময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন- ‘ঘটনার সময় আমার স্বামী বাসায় ছিল, এরপরও পুলিশ তাকে ধরে এনেছে’
ট্রাফিক বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।
ওই ঘটনায় গত ৭ জুন সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর