Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জুরাইনে পুলিশ-আইনজীবীর মধ্যে যেই অপরাধী হোক, বিচার হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুন ২০২২ ১২:৩৮

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনের ঘটনায় পুলিশ-আইনজীবীর মধ্যে যার সঙ্গে অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তারই বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন।

রিটের পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনারা বিচারিক আদালতে দুই আইনজীবীর জামিন আবেদন করুন। তারা জামিন না দিলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করুন। হাইকোর্টে জামিন না দিলে তারপর আমরা দেখব।’

পরে আদালত আগামী রোববারের মধ্যে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন এবং শুনানি মুলতবি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী মুরাদ রেজা, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

গত ১২ জুন রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় দুই আইনজীবীকে রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনায় মামলার নথি তলবের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানিয়েছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় দুই আইনজীবী রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর গত ৯ জুন এ মামলার নথি তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিমান্ড কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, জুরাইনের এ ঘটনায় দুই আইনজীবীকে রিমান্ডে নেওয়ায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট করেন আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী।

গত ৮ জুন রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দুই আইনজীবীসহ ৫ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহাবুল ইসলাম রনি ও তার শ্যালক আইনজীবী ইয়াসিন আরাফাত, স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরীফ, মো. নাহিদ এবং মো. রাসেল। তবে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে রিমান্ড আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে মামলার একমাত্র নারী আসামি আইনজীবী ইয়াসিন জাহান ভুইয়া নিশানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জানা যায়, গত ৭ জুন রাজধানীর জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এসময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন।

ট্রাফিক বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় গত ৭ জুন সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত তিন জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫০/৪০০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

অপরাধী জুরাইনে হামলা টপ নিউজ পুলিশ-আইনজীবী বিচার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর