সাক্কুর হ্যাটট্রিকে রিফাত-বাধা, চমকে দিতে পারেন কায়সারও
১৪ জুন ২০২২ ২২:৫৪
কুমিল্লা থেকে: প্রচারণা শেষ। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাওয়ার পালাও শেষ। এখন কেবল বাকি ভোটগ্রহণ। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই সেই অপেক্ষারও অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ভোটের মাধ্যমেই ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরসহ নগরপিতাকে বেছে নিতে যাচ্ছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) বাসিন্দারা। এর জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
এখন শুধু একটাই প্রশ্ন— কে হতে যাচ্ছেন কুমিল্লা সিটির তৃতীয় মেয়র? টানা দুই মেয়াদে কুমিল্লা সিটির মেয়ার মনিরুল হক সাক্কু কি এবার পারবেন হ্যাটট্রিক জয়ে মাততে? নাকি নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো এই সিটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ উপহার দিতে পারবেন আরফানুল হক রিফাত? স্থানীয় বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার কি চমক দেখিয়ে দখল করে নিতে পারবেন নগরপিতার আসন? এসব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কুমিল্লা নগরবাসীর মনে, যে প্রশ্নের উত্তর মিলতে আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।
আগামীকাল বুধবার (১৫ জুন) সকালেই শুরু হতে যাচ্ছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে এই নির্বাচনে। এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে এসব মেশিন।
আরও পড়ুন- প্রথম নির্বাচনেই চ্যালেঞ্জের মুখে নতুন ইসি!
স্থানীয়রা বলছেন, এই সিটিতে মেয়র পদের জয় নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সমীকরণ। সাক্কু ও কায়সার স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দু’জনেই বিএনপি নেতা। বিএনপির ভোট ব্যাংক দুই প্রার্থীতে কতটা বিভক্ত হবে, ভোটের ফল অনেকটাই নির্ভর করছে এর ওপর। জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের ভোট কোন প্রার্থী পাবেন, সেটিও নির্বাচনের নিয়ামক হতে পারে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিভাজনও হয়ে উঠতে পারে এই ভোটের অন্যতম নির্ধারক বিষয়। আর সব ছাপিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের উপস্থিতিও কুসিক নির্বাচনের জন্য বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছেন ভোটাররা। এসব বিষয় নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সদ্য সাবেক মেয়র ও এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক। এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে তার পরাজিত হওয়ার রেকর্ড নেই। ২০১১ সালে কুমিল্লাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হলে ২০১২ সালের প্রথম নির্বাচনেই জয় পান সাক্কু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে ওই নির্বাচনে ২৯ হাজার ১০৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আফজল খানকে। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কুসিক নির্বাচনেও সাক্কুর জয়ের ধারা অব্যাহত থাকে। এবারে ধানের শীষ নিয়ে নৌকার প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে হারিয়ে দেন ১১ হাজার ৮৫ ভোটের ব্যবধানে। এরও আগে অবশ্য ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা পৌরসভার মেয়র পদে অংশ নিয়েও সাক্কুই বিজয়ী হিসেবে মাঠ ছাড়েন। সে হিসাবে গত ১৭ বছর ধরে কুমিল্লার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এককভাবে জয়ের ধারা বজায় রেখে চলেছেন সাক্কু।
এবারে বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলেও মনিরুল হক সাক্কু প্রতিদ্বন্দ্বিতা অব্যাহত রেখেছেন। এর জন্য দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তিনি নিজেও দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কুমিল্লার ভোটাররা অবশ্য বলছেন, এবার রাজনৈতিক নানা সমীকরণে একটু চাপেই আছেন সাক্কু। বিশেষ করে কুমিল্লার মেয়র হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলেও আশানুরূপ উন্নয়ন না হওয়া, জলাবদ্ধতা ও যানজট কমাতে না পারাসহ বেশকিছু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে দল ও প্রতীকের বাইরেও রয়েছে বেশকিছু মারপ্যাঁচ।
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই কুমিল্লা সিটির ভোট
সাক্কুর বিরুদ্ধে আলাদা করে ক্ষোভ রয়েছে নগরীর দক্ষিণ অংশের ৬৫ হাজার ভোটারের। এই এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে কাজ একেবারেই কম হয়েছে বলে অভিযোগ ভোটারদের। এছাড়া নগরীতে উন্নয়ন কাজে নিম্ন মান, অপরিকল্পিত নগরায়ন, নিজের সম্পদ বাড়ানোসহ আরও অভিযোগ রয়েছে সাক্কুর বিরুদ্ধে। হ্যাটট্রিক জয়ের পথে এগুলো হিসেবে নেবেন ভোটাররা।
কুমিল্লার যেকোনো নির্বাচনে নারী ভোটও একটি বড় ফ্যাক্টর। কারণ এই সিটিতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি। বিগত নির্বাচনে মেয়র পদে নারী প্রার্থীদের অধিক সমর্থন পেলেও এবার সেখানে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে মনিরুল হক সাক্কুকে।
এসবকিছুর বাইরেও মনিরুল হক সাক্কুর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সঙ্গে তার সখ্য। শহরের সদর হাসপাতাল রোডের একজন ভোটার বলেন, ‘এখানে সবাই জানে এ বিষয়ে। অনেকটা ওপেন সিক্রেট বিষয়ের মতো। মেয়র যা কিছু কাজ দেন, তার বড় একটি অংশই পান এমপির সমর্থক ও অনুসারীরা। তবে এবার এমপি’র নিজের প্রার্থী থাকায় হিসাবটা একটু জটিল হয়ে গেছে।’
হ্যাটট্রিক জয়ের পথে মনিরুল হক সাক্কুর আরেক বড় চ্যালেঞ্জ নিজ দল বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এবারে জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত ভোট দুই ভাগে ভাগ হবে বলেই মনে করছেন ভোটাররা।
তবে নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, কুমিল্লায় আমাদের ইতিহাস আছে। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার ফুফাতো ভাই কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন বীর প্রতীক কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে পাঁচ বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পাঁচ বারই জয়ী হন। আমি উনার সব নির্বাচন করেছি। ১৯৭৯ সাল থেকে আমাদের পরিবার কোনো নির্বাচনে পরাজিত হয়নি। ২০০৫ সালে আকবর ভাই সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকার সময় আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান হই। এরপর দুই বার মেয়র হয়েছি। এবারও সুষ্ঠু ভোট হলে হ্যাটট্রিক জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এদিকে, কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুক হক রিফাতের এটিই প্রথম নির্বাচন। এর আগে ১৯৮১ সালে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের বহিঃক্রীড়া সম্পাদক পদে ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচন করে জয়ী হন। পরে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে একাধিকবার জয়ী হন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ তার।
জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী আরফানুল হক রিফাত সারাবাংলাকে বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রচারণায় গিয়ে আমি ভোটারদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি। আমার বিশ্বাস, বুধবারের ভোটে নৌকার প্রতি মানুষের যে আস্থা, তারই প্রতিফলন ঘটবে।
কুমিল্লা আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দাবি করেই জয়ের বিষয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী রিফাত। তিনি বলেন, জনগণ আমার পক্ষে রায় দেবে। আমার কোনো স্পট নেই। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে কুমিল্লার নগরবাসী আমাকে ভোট দেবেন। মানুষ পরিবর্তন চায়। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগও অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সংঘবদ্ধ এবং সংগঠিত। এখানে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো ধরনের বিরোধ নেই। জয়ের ব্যাপারে আমি তাই শতভাগ আশাবাদী।
নিজের জয়ের আত্মবিশ্বাসের পেছনে মেয়র হিসেবে সাক্কুর ব্যর্থতাকেও নিজের পক্ষে ভোট টানার কারণ বলে করছেন আরফানুল হক রিফাত। তিনি বলেন, এর আগের দুই মেয়াদে কুমিল্লাবাসী দুর্নীতি ছাড়া কোনো উন্নয়ন দেখেনি। এই সাবেক মেয়রের সবকিছুতেই ব্যর্থতা। সফলতা শুধুমাত্র দুর্নীতিতে। উনার (সাবেক মেয়রের) ব্যর্থতার কারণে কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়। এজন্যই তারা আমাকে বেছে নেবেন। কুসিক নির্বাচনে তাই ভোটাররা নৌকার পক্ষেই ভোট দেবে।
অন্যদিকে, নির্বাচনের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ১৯৯৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের যৌথ প্যানেল থেকে সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। তিনি এবারই প্রথম স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
জয়ের আশাবাদ জানিয়ে কায়সার বলেন, আমি আমার নির্বাচনি প্রচারণার সময় গণজোয়ার দেখেছি। আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকা দুই প্রার্থীকেই তারা দুর্নীতিবাজ মনে করে। আর তাই কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবেন। তারা সম্প্রীতির নিরাপদ শহর গড়তে আমাকে ভোট দেবেন।
তিনি বলেন, মেয়র প্রার্থী মনিরুল সাক্কু ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত একই সুতোয় গাঁথা। অংশগ্রহণমূলক ভোট হলেই আমি তাদের থেকে দ্বিগুণ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করব।
তবে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে কায়সারের। তিনি বলেন, নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী নির্বাচনি এলাকায় ভোটের দিন সব ধরনের অফিস-আদালত বন্ধ রাখা হয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি, ভোটের দিনই ইপিজেডসহ সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। ভোটার উপস্থিতি কমাতে এ কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, এ পর্যন্ত তারা একজন সংসদ সদস্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ইসির এ অসহায়ত্বে এরই মধ্যে ভোটারদের মনে সুষ্ঠু ভোটের সংশয় তৈরি হয়েছে।
কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আরও দুই প্রার্থী। এর মাঝে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি জয়ী হওয়ার বিষয়েও আশাবাদী বলে জানান। তবে আরেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন হাজার ৬০৮ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র্যাবের টিম, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করা প্রয়োজন তার সবই নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান মো. ফারুক আহমেদ। বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যেই নগরীর সব স্থানে মাইকিং করে মোটরসাইকেল না চালানোর নির্দেশনার বিষয়েও জানানো হয়েছে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কীভাবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা যায়, সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেভাবেই আমরা কাজ করে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সিটি নির্বাচনে সম্পৃক্ত সবকিছুই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, আমরা সুষ্ঠু ভোট করার জন্য বদ্ধপরিকর। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশের কর্মকর্তারা সবাই সজাগ থাকবেন। এছাড়া নগরীর প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমি আশাবাদী, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবে।
কুসিকের তৃতীয় এই নির্বাচনে পাঁচ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
আরফানুল হক রিফাত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কুমিল্লা সিটি নির্বাচন কুসিক নির্বাচন কুসিক নির্বাচন ২০২২ নিজাম উদ্দিন কায়সার মনিরুল হক সাক্কু