রাজধানীতে এবার পশুর হাট বসবে ১৭টি
১৫ জুন ২০২২ ২৩:১২
ঢাকা: আসছে ইদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটিতে মোট ১৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৭টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১০টি হাট বসবে।
বুধবার (১৫ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সাতটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া একটি স্থায়ী হাট বসানোরও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গাবতলী পশুর হাট হচ্ছে স্থায়ী হাট। এর বাইরে ৭টি অস্থায়ী হাট হচ্ছে, গাবতলী (স্থায়ী), বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ পর্যন্ত এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল ও যমুনা হাউজিং কোম্পানির এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীনের খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।’
সেলিম রেজা বলেন, ‘পশুর হাট যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার আরও বেশি শক্ত ভূমিকা নেওয়া হয়েছে। হেলথ হাইজিন মেইটেন করার চেষ্টা করা হবে। সিকিউরিটিদের সঙ্গে সমন্ময় করে কাজ করার চেষ্টা করা হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে জোর দেওয়া হবে জানিয়ে সেলিম রেজা বলেন, ‘যেহেতু কোরবানির ইদ আসতে অনেক সময় রয়েছে, এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি এবং সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে স্বাস্থ্যবিধি ঠিক করা হবে। এছাড়া স্বশরীরে হাটের পাশাপাশি ডিএনসিসি ডিজিটাল হাটও চালু থাকবে।’ এরইমধ্যে হাটের ইজারাও চুড়ান্ত হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডিএসসিসি এলাকায় স্থায়ীভাবে সারুলিয়া পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। এর বাইরে ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। সেগুলো হলো, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা ও কলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।’
আবু নাছের আরও বলেন, ‘এবার করোনা পরিস্থিতিতে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে তা নিয়ে এখনো সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় যে সিদ্ধান্ত আসবে তার আলোকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ইজারা চুড়ান্ত হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সড়কে কোনো হাট বসানো হবে না এমন সিদ্ধান্ত মেনেই ইজারাদারগণ টেন্ডার ড্রপ করেছিল। যারা ইজারা পেয়েছেন তাদেরকেও বলা হয়েছে যাতে কেউ সড়কে পশুর হাট না বসান।’
উল্লেখ্য গত বছর ঢাকার দুই সিটিতে মোট ২১ টি পশুর হাট বসানো হয়েছিল।
সারাবাংলা/ইউজে/একে