জিততে পারেননি কুসিকের ১৭ নং ওয়ার্ডে নিহত সোহেলের স্ত্রী ও ভাই
১৬ জুন ২০২২ ০৯:৫৮
কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে হেরে গেছেন এই ওয়ার্ডের নিহত সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সোহেলের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শাহনাজ সোহেল রুনা। একই ওয়ার্ডে তার ভাই সৈয়দ রুমনও নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি। একই পরিবারের দেবর-ভাবির নির্বাচনটি ১৭ নং ওয়ার্ডের সবচাইতে বেশি আলোচিত ছিল। তবে তাদের পরাজিত করে এই ওয়ার্ডে বেসরকারিভাবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক্টর প্রতীকের প্রার্থী হানিফ মাহমুদ।
বুধবার (১৫ জুন) নির্বাচন শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে।
এই ফলাফল দেখা গেছে, ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেন ট্রাক্টর প্রতীকের হানিফ মাহমুদ। দুই হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে কাউন্সলর নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিহত কাউন্সিলর সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ সোহেল রুনা পেয়েছেন ২ হাজার ২০৮ ভোট।
প্রসঙ্গত, গেল বছরের ২২ নভেম্বর বিকেলে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। নিহত সোহেল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। প্রকাশ্যে তাকে হত্যার বিষয়টি তখন দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছিল নানা কারণে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এক আসামি গ্রেফতার
কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ নিহত দুই, গুলিবিদ্ধ ৬ জন
এবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ সোহেল রুনা ছিল ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক কাউন্সিলর প্রার্থী। নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমনও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নিহত সোহেলের স্ত্রী রুনা ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ও ছোট ভাই সৈয়দ রুমন টিফিন বক্স নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তারা দুজনেই কাউন্সিলর সোহেলের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।
একই পরিবারের দেবর-ভাবির নির্বাচনটি ছিল ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। একইসঙ্গে নগরীর বিভিন্ন প্রান্তেও এই বিষয়টি ছিল আলোচিত। এ দু’জন ছাড়াও আরও চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে তাদের সবাইকে পরাজিত করে কুসিক নির্বাচনের ফলাফলে ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন হানিফ মাহমুদ।
পরাজয়ের কারণ হিসেবে নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ রুমন বলেন, ভাই মারা যাওয়ার পরে পারিবারিভাবে আমার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সবাই মিলে আমরা ভাবিকে বলেছিলাম সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচন করতে। আর আমি সাধারণ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করি। একটি পক্ষ ভাবিকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিল। ফলে কাউন্সিলর সোহেলের জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও আসলে একই পরিবারের দু’জন হিসেবে আমরা কেউই বিজয়ীর হাসি নিয়ে বের হতে পারিনি।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। নৌকা প্রতীক নিয়ে ১০৫ কেন্দ্রে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন রিফাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
সারাবাংলা/এসবি/এনএস