সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন সরকারের বিবেচনাধীন: আইনমন্ত্রী
১৬ জুন ২০২২ ১৮:৫২
ঢাকা: আদালতে মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আইন প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘বিচারের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে মামলার সাক্ষী। সাক্ষীদের দেওয়া সাক্ষ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে বিচারক রায় দিয়ে থাকেন।’
বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের অবহিত করার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে সাক্ষীরা যেন ভোগান্তিহীনভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেন সে জন্য জেলাগুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আইন প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের অবহিত করার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ফৌজদারি মামলার সাক্ষীরা আদালতে বিচারাধীন মামলার ধার্য তারিখ সম্পর্কে বিদ্যমান সমন জারি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এসএমএস-এর মাধ্যমে অবগত হবেন। ফলে সহজে ও স্বল্প খরচে আদালতে সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হবে।’
জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারিকালে দেশের মানুষ যেন ন্যূনতম বিচারিক সেবাবঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে দেশের সব আদালতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে বিচারপ্রার্থী সব পক্ষ এবং তাদের আইনজীবীদের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগ যুগান্তকারী। ফলে বিচারাধীন জরুরি বিষয়গুলো ভার্চুয়াল আদালতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালের ১১ মে হতে ৪ আগস্ট এবং ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ওই বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২টি জামিনের দরখাস্ত নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এর ফলে জেলখানার চাপ কিছু কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দিতে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে