পরাজিত প্রার্থীর নেতৃত্বে মহিপুর থানা ঘেরাও, ৬ পুলিশ সদস্য আহত
১৭ জুন ২০২২ ২০:৪৫
কুয়াকাটা: পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় এক আসামি গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানাভবন ঘেরাও করেছিল পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থীর সর্মকরা। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা এনিয়ে বিক্ষুব্ধ সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ এবং পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিপেটার জবাবে এসআই আ. হালিম, কনেস্টবল মিলন, ওবায়দুল, আবজাল এবং নারী কনেস্টবল শীলা ও নাসরীন আহত হন।
এসময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে দুই নারীসহ অন্তত ১৫ বিক্ষুব্ধ সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত সাফিয়া বলেন, ‘একজন নিরপরাধ লোককে থানায় ধরে নিয়ে এসেছে। আমরা এর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদস্বরূপ থানার সামনে অপেক্ষমান ছিলাম। পুলিশ অতর্কিত আমাদের ওপর লাঠিপেটা করেছে।’
এদিকে আহত পুলিশের এসআই হালিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ওসি আবুল খায়ের।
তিনি আরও জানান, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার মামলায় মো. খলিল নামে এক আসামিকে গ্রেফতারের পর তার ভাই পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আ. জলিলের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। পরে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করে। পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আ. জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও