ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক তমাল
২০ জুন ২০২২ ২১:৪১
ঢাকা: অনলাইন উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২২-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। তারা দু’জনেই সবশেষ কমিটিতেও একই পদে আছেন।
সোমবার (২০ জুন) সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তা পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাঁচটি পদে পাঁচ জন শীর্ষ কর্মকর্তা নির্বাচিত হন। নির্বাচিত অন্যরা হলেন— সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নাছিমা আক্তার নিশা এবং অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ। তাদের মধ্যে আসিফ আহনাফ বর্তমান কমিটিতে পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
এর আগে, গত ১৮ জুন ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ৩১ জন প্রার্থীর বিপরীতে পরিচালক পদে ৯ জন নির্বাচিত হন। ৭৯৫ জন ভোটারের মধ্যে ৬১১ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
শনিবারের ভোটে শমী কায়সার নির্বাচিত হয়েছেন ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেড থেকে এবং মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল নির্বাচিত হয়েছেন কমজগৎ টেকনোলজি থেকে। বাকিদের মধ্যে সাহাব উদ্দিনের প্রতিষ্ঠান শিপন ডায়বেটিস স্টোর, নাছিমা আক্তারের প্রতিষ্ঠান নিশা রেভারী করপোরেশন এবং আসিফ আহনাফের প্রতিষ্ঠান ব্রেকব্রাইট।
নির্বাচিত বাকি সদস্যরা পরিচালক হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। ৯ জনের এই পরিষদ আগামী ২ বছর এই খাতে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করবেন। নির্বাচনে তিনটি প্যানেল ৯ জন করে ২৭ জন ও চার জন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নেন। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বাণিজ্য সংগঠনটিতে এর আগে তিনটি পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। এবারই প্রথম উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচালক পদে আরও যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন— ফুডপান্ডা বাংলাদেশের সৈয়দা আম্বারিন রেজা, পেপারফ্লাই লিমিটেড থেকে শাহরিয়ার হাসান, ডিজিটাল হাব লিমিটেড থেকে সাইদ রহমান এবং সেবা ডট এক্সওয়াইজেড থেকে ইলমুল হক। প্রথম ৮ জন প্রার্থী অগ্রগামী নামের প্যানেল থেকে এবং সবশেষ ও নবম বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন দ্য চেঞ্জ মেকার্স প্যানেল দল থেকে।
নির্বাচিত সভাপতি শমী কায়সার বলেন, আমরা বিগত বছরগুলোতে বিশেষ করে কোভিডের সময়ে সদস্য ও ভোটারদের পাশে ছিলাম। এই খাতের উন্নয়নে কাজ করেছি। এই খাতটি শুরু থেকে আজকের অবস্থানে আনার জন্য কাজ করেছি। তারই প্রতিদান হিসেবে এই খাতের ব্যবসায়ীরা আমার ও আমার দলের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা রক্ষা করার জন্য জন্য আগামী দুই বছর আমি ও আমার টিম কাজ করব এবং আমরা সবাইকে নিয়ে এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
ই-ক্যাবের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৪ জুলাই। এরপর নতুন নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর