Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানব পাচারের বিচারে ৭ বিভাগীয় ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ জুন ২০২২ ১৭:৪০

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মানব পাচার অপরাধীদের বিচারের জন্য সাতটি বিভাগীয় শহরে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর প্রতি বছর মানব পাচার বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা অভিবাসন ও মানব পাচার সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ‘টায়ার-২ ওয়াচ লিস্ট’র তালিকাভুক্ত ছিল। ২০২০ সালের প্রতিবেদনে সেখান থেকে বাংলাদেশ ‘টায়ার-২’-তে উন্নীত হয়।

বিজ্ঞাপন

রোবাবার (২৬ জুন) সংসদ অধিবেশনে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানব পচার প্রতিরোধে প্রতি দুই মাস পরপর জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে অন্তঃমন্ত্রণালয় এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটির সভা, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। পাচার প্রতিরোধে প্রতি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্টার ট্রাফিকিং কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মানব পাচার, বিশেষত নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধী কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিগুলো মানব পাচার প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনায় মামলা ও অভিযোগ মনিটরিং করার জন্য পুলিশ অধিদফতরে গঠিত বিভিন্ন সেল মামলার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করাসহ মন্ত্রণালয়কে প্রতিনিয়ত অবহিত করছে। এসব সেলের মধ্যে রয়েছে মানব পাচার প্রতিরোধ মনিটরিং সেল, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এবং উইমেন ডেস্ক।

এর মধ্যে আটটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সহায়তা দিচ্ছে। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ১৫টি থানায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু উইমেন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারীদের কাউন্সেলিংসহ আইনি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী জানান, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১০০টি থানায় শিশু সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন পাস করা হয়েছে। ২০১৭ সালে মানব পাচার দমন বিধিমালা ও মানব পাচার তহবিল বিধিমালা পাস করা হয়েছে। ২০১৫ সালে পাচার করা ভিকমিটদের উদ্ধারে ভারত ও বাংলাদেশ এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ২০১৮ সালে এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

মানব পাচার সংসদ অধিবেশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর