Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইভিএম হলো ভোট চুরির বিশ্বস্ত যন্ত্র: ন্যাপ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুন ২০২২ ১৯:১৬

ঢাকা: ভোট গ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) নেতারা। ইভিএম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট চুরির বিশ্বস্ত যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির পক্ষে দলীয় নেতারা এ মন্তব্য করেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা।

এ বিষয়ে এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, ‘ইভিএম’এ ভোট হবে, এটি এখনো গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়। বরং দেশের পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাই ভেঙে গেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনাই নির্বচন কমিশনের প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত। অনেক দেশ ইভিএম থেকে সরে এসেছে। বাংলাদেশের মতো দেশে কাগজের ব্যালটে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করাই সর্বোত্তম। নির্বাচন কমিশনকে নতুন বিতর্কে জড়ানো সমীচীন হবে না বলে মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে- সুষ্ট নির্বাচন নিশ্চিত করতে নিজেদের একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে পুনর্নির্মাণের দিকে মনোনিবেশ করা। ইভিএম নিয়ে ফের বিতর্ক সৃষ্টি না করে, রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচন নিয়ে যে সন্দেহ বা আস্থাহীনতা রয়েছে, তা দূর করা।’

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সন্দেহ ও অবিশ্বাস আছে। একটি অবাধ, সুষ্ট ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে এই পদ্ধতিটিই বাধা হয়ে উঠবে। দেশের জনগণ মনে করে, ইভিএম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট চুরির বিশ্বস্ত যন্ত্র। প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব বলেই জনগণ মনে করে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইভিএম নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা কোনোভাবেই সঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্যে একটি অবাধ, সুষ্ট, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্য। ভোটের মাধ্যমে নিজের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং সংবিধান এই মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন কমিশনই এই কাজে সফল হতে পেরেছে বলে দেশবাসী মনে করে না।’

বাংলাদেশ ন্যাপের এই মহাসচিব আরও বলেন, আস্থা পুনরুদ্ধারে নতুন নির্বাচন কমিশন দৃষ্টান্ত দাঁড় করতে না পারলে যে পদ্ধতিতেই নির্বাচন হোক না কেন, এর গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন-বিতর্ক নিরসন করা যাবে না। গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজনে স্বচ্ছ, প্রশ্নমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য আগে সব রাজনৈতিক দল ও ভোটারের আস্থা অর্জনে যাবতীয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা।’

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

বাংলাদেশ ন্যাপ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর