ডেসটিনির জেসমিনের জামিন হয়নি
৩০ জুন ২০২২ ১০:২২
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির জেসমিন আক্তার মিলনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, তার এক কোটি টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা হয়। এর মধ্যে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর জেসমিন আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন জেসমিন আক্তার।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক ছিল।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম