Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাহিদার তুলনায় দেশে বেশি রয়েছে ২৩ লাখ কোরবানির পশু

গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জুলাই ২০২২ ২০:৪০

ঢাকা: আসন্ন ইদুল আজহায় শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ বছর দেশের খামারি ও গৃহস্থদের কাছে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। বিপরীতে কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫টি। যা গত বছরের চেয়ে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৩টি বেশি।

২০২১ সালে সারাদেশে কোরবানি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় ৭ লাখ বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা থাকলেও দেশে কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না। বরং কোরবানির দেওয়ার পরেও দেশে অতিরিক্ত ২৩ রাখ ৪৯ হাজার ১৫৪টি পশু অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যাবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র সারাবাংলাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু আছে। এ বছর দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর পরিমাণ ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। এটি গত বছরের চাহিদার তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ বেশি। অথচ দেশে গত বছরের তুলনায় এবার চাহিদা বেড়েছে ৭ লাখের কাছাকাছি। ফলে শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়ার পরেও সাড়ে ২৩ লাখ পশু অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যাবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব এবার কোরবানিতে পড়বে। এক সময় কোরবানির পশু নিয়ে ফেরিঘাটে এসে দুই-তিনদিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে অন্যত্র পশু পারাপারে এখন ফেরি পার না হলেও চলে। ফলে ফেরিঘাটকেন্দ্রিক কোরবানি পশু আনা নেওয়া করতে খামারিদের বিড়ম্বনা এখন নেই।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে কোরবানির পশু পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর ২০২০ ও ২০২১ সালে দেশে কোরবানির চাহিদা কমে গেছে। ২০১৭ সালে দেশে মোট কোরবানি হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৫৬টি, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ১ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার হাজার ৭০টি। ২০১৯ সালে তা আরও বেড়ে হয় ১ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ২৮১টি। করোনা অর্থনীতি মন্দার কারণে ২০২০ সাল থেকে কোরবানি দেওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। ২০২০ সালে দেশে কোরবানি হয় মাত্র ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু। এটি ২০১৯ সালের কোরবানির তুলনায় ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৮টি পশু কম কোরবানি হয়েছে। ২০২১ সালে তা আরও কমে কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা কমে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ২৪২টি নেমে আসে। তবে চলতি বছর কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা সর্বশেষ দুই বছরের তুলনায় কিছুটা বাড়বে। এবার পশুর চাহিদা ধরা হচ্ছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫টি।

সারাবাংলা/জিএস/এএম

কোরবানির পশু কোরবানির পশুরহাট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর