‘মাদকাসক্তদের সুস্থ করতে জরুরি পরিবারের সমর্থন’
২ জুলাই ২০২২ ২৩:২১
ঢাকা: ‘মাদকে আসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় শুধুমাত্র চিকিৎসক আর কাউন্সিলিংয়ের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। তাদের সুস্থ করে তুলতে পরিবার এবং সামাজিক ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার বা সমাজে সমর্থন ছাড়া মাদকাসক্তদের সুস্থ করা খুবই দূরহ। তাদের সুস্থ করতে পরিবারের জরুরি পরিবারের সমর্থন।’
শনিবার (২ জুলাই) শেখ রোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের সাইকোলজি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস এবং মনোবৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন কাউসার বিপ্লব।
তিনি বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে অপব্যবহার যেটা বলা হচ্ছে আসলে এটা মেডিকেলে ব্যবহার হচ্ছে। যদি কেউ এই মাদকে নির্ভর হয়ে পরে তবে এই নির্ভরতা হচ্ছে আসক্তি।’
মাদকাসক্তিতে কাদের ঝুঁকি বেশি এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১৬ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে কেউ যদি মাদকের ওপর নির্ভর হয়ে পরে তবে তার মাদকে আসক্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩০ থেকে ৪০ বছরের লোকও মাদকাসক্ত হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় শুধুমাত্র চিকিৎসক আর কাউন্সিলিং-এর ওপর নির্ভর করলে চলবে না। পরিবার এবং সামাজিক ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামজ বা পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া সুস্থ হওয়া খুবই দূরহ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন নিজেরই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘আমার দুই ছেলে। আমার ছোট ছেলের বয়স যখন ৬ বছর। তখনই তার মধ্যে কিছু ছোট ছোট জিনিস লক্ষ্য করলাম যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে একটু সচেতন হওয়া উচিৎ। আমি ৬ বছরের শিশুকেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে নিয়ে গিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, বয়সের কিছু বিষয় আছে যা আমরা সাধারণ ভাবে বুঝতে পারি না। বিশেষজ্ঞের সাহায্যে সেই জনিসগুলোকে খেয়াল রাখা। কী কারণে তার রাগ হচ্ছে, অভিমান হচ্ছে, মনে কষ্ট হচ্ছে, জোরে কথা বলছে, রাগ হলে জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে, এই বিষয়গুলো তার ভেতর থেকে কথা বলে বের করে আনা। এটা আসলে সব বয়সের মানুষের খুব দরকার।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন- শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ এইচ এম মনিরুজ্জোহা।
সারাবাংলা/এসবি/এমও