বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭
৬ জুলাই ২০২২ ১৩:০৯
বরিশাল: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রধান দুটি পক্ষ রয়েছে। উভয় পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নামে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল নগরের সিএন্ডবি রোডের কলেজ এভিনিউ তিন মাথা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র রাইদুল ইসলাম নিরবকে মারধর করে স্থানীয় যুবকরা। যার প্রতিবাদে সেখানে সড়ক অবরোধও করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাসে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
যদিও এর আগেই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ দুভাগে বিভক্ত হয়। যা নিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে সামনাসামনি ও মোবাইল ফোনে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে হঠাৎ করেই ছাত্রলীগের পৃথক দুই গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটলে গোটা ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের সাতজন গুরুতর আহত হয়।
ছাত্রলীগের একাংশের নেতা ময়িদুর রহমান বাকিসহ তার অনুসারী ছাব্বির হোসেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অপরদিকে অপরাংশের ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত ও সৈয়দ রুম্মান ইসলামসহ তাদের অনুসারী তমাল, মেহেদি হাসান ও আল সামাদ শান্ত নামে মোট ৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অমিত হাসান রক্তিম বলেন, সিফাত গ্রুপের হামলায় আহত হয়ে তাদের সহপাঠী মহিদুর রহমান বাকি ও ছাব্বির হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সৈয়দ রুম্মান ইসলাম দাবি করেছেন, তাদের পক্ষের কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন এবং তিনিসহ আহতরা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাদের ওপর হামলা ও পাল্টা হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
এদিকে রাতের এ ঘটনায় থানা পুলিশের কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করার পাশাপাশি হাসপাতালে যান বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মেহেদি হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে হঠাৎ করেই দুইদল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জনের মতো আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাতেই খবর পেয়ে আমরা বিষয়টি ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখার পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ করছি। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস