নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্চিত: বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচারের দাবি
৬ জুলাই ২০২২ ২৩:৪৫
নড়াইল: জেলা সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিতসহ ওই দিনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) নড়াইল আদালত সড়কে “নীপিড়নের বিরুদ্ধে নড়াইল” এর ব্যানারে এ মানববন্ধন এ কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলুর সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সুবাস চন্দ্র বোস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহেল বাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এস এ মতিন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নড়াইলেল সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদ নড়াইলের সভাপতি অ্যাড. হেমায়েত উল্লাহ হিরু, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদুল হাসান কায়েচ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী ইসমাইল হোসেন লিটন, ব্যাবসায়ী আব্দুল মকিত লাবলুসহ অনেকে।
বক্তরা শিক্ষার্থী রাহুল দেবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, ঘটনার উসকানিদাতা শিক্ষকদের চিহিৃত করে চাকরি থেকে অব্যাহতিসহ ৫ দফা দাবি প্রদান করেন এবং এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ওরফে বাপ্পী রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন “প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম”। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কলেজের ছাত্ররা তাকে সেটি মুছে ফেলতে বলেন। ১৮ জুন সকালে অভিযুক্ত ছাত্র কলেজে এলে তার সহপাঠীরা তাকে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে অধ্যক্ষের কাছে বিচার চান। ওই সময় ‘অধ্যক্ষ ওই ছাত্রকে রক্ষার চেষ্টায় তার পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে কলেজ ক্যাম্পাসসহ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় অভিযুক্ত ছাত্র ও অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস।
খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্দ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ ও ছাত্র-জনতা দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। উত্তেজিত জনতা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্চিত ও বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বিক্ষুব্ধ জনতা কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্য দু’শিক্ষকের তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
সারাবাংলা/একেএম