Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্জ্য সরাতে প্রস্তুত ১০ হাজার কর্মী, থাকছে হটলাইন নম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ জুলাই ২০২২ ১৭:০৪

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এই বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য প্রস্তুত ১০ হাজার কর্মী। বর্জ্য অপসারণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ডিএনসিসি নগর ভবনে স্থাপন করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এখানে তিনটি হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবে নাগরিকরা। একইসঙ্গে বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ছয়শত যানবাহনের পাশাপাশি পচনশীল পলি ব্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমান ব্লিচিং পাওডার ও স্যাভলনও।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঈদে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। এরইমধ্যে আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মাঝে সকলের সহযোগিতায় কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।

তিনি বলেন, নগরবাসীর সুবিধার জন্য আমরা তাদেরও সঙ্গে নিয়ে এগুতে চাই। কোরবানির বর্জ্য সংশ্লিষ্ট যে কোনো ধরনের তথ্য নাগরিকরা নগর ভবনে দিতে পারবেন। এজন্য নগরভবনে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, কন্ট্রোলরুমে ফোন করে সবাই বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবে। তথ্য পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কন্ট্রোলরুমের ৩টি ফোন নম্বর: ১৬১০৬, ০২-৫৫৫০৫২০৮৪, ০৯৬০-২২২২৩৩৩।

এর আগে মো. আতিকুল ইসলাম আফতাবনগর পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সবাইকে মাস্ক পরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করার আহ্বান করেন তিনি। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে একশ জন করে মোট এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে বলেও জানান তিনি।

পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসিতে দশটি পশুর হাটেই বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির ছয়টি হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথগুলোতে কোন চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘন্টা লেনদেন করা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে নগদ টাকা বহন কর‍তে হবে না।’

হাটগুলোতে পশুর চিকিৎসার জন্য একটি করে মেডিকেল টিম রয়েছে বলেও জানান আতিকুল ইসলাম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘পশুর হাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মশার সংখ্য বেড়ে গেছে। হাট চলাকালীন মশার ঔষুধ ছিটানো যাচ্ছে না কারণ এতে পশুর ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। হাটের কার্যক্রম শেষ হলে এই এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ না করলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র।

তিনি বলেন, ইজারাদাররা তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে না পারলে এমনকি তাদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে।

এদিন ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। এছাড়াও ডিএনসিসি’র বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/একে

কোরবানি কোরবানির বর্জ্য ডিএনসিসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর