Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচারকার্যের গতি বাড়াতে হবে: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২২ ১৮:৪৩

ঢাকা : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজ করার গতি বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বিচারকদেরকেও এটি বিবেচনায় নিয়ে বিচারকাজের গতি বাড়াতে হবে। বিচারকরা দ্রুত বিচারকার্য কিভাবে সম্পন্ন করবেন, সেটি নিয়ে তাদের ভাবতে হবে।

বুধবার (১৩ জুলাই ) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪৬ ও ৪৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুগ কিন্তু পাল্টে গেছে। আপনারা এখন ডিজিটাল যুগের বিচারক। আগে বিচারকার্যে দেরি হলে, বিভিন্ন কারণ উপলদ্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিতো। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তারা কিন্তু বিচারের বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না। তারা দ্রুত ন্যায়বিচার চায়।’

তিনি বলেন, ‘একটি কথা চালু আছে, জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড এবং জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড আপনাদেরকে এই দুটোর মধ্যে কিন্তু সমন্বয় করতে হবে। একটি ব্যালান্সের মধ্যে আসতে হবে। সবসময় একটি অভিযোগ আসে বিচারকার্য করতে গেলে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী দিতে দেরি হয়। কারণ তাদেরকে খুঁজে বের করতে, চিহ্নিত করতে এবং কর্মস্থল থেকে বিচারিক আদালতে আনতে অনেকদিন সময় লেগে যায়। এ সমস্যা দূর করার অংশ হিসেবে মামলার চার্জশিটে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে আদালতে আনা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। সেটি হচ্ছে এসএমএস- এর মাধ্যমে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রত্যেক স্বাক্ষীকে মামলার তারিখ জানানো। এর ফলে তারা আর বলতে পারবে না যে, আমরা সংবাদ পাই নাই বা আমি এই জন্য আদালতে আসতে পারিনি।’

বিজ্ঞাপন

আনিসুল হক বলেন, ‘নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করেছি। এটি হচ্ছে আমাদের মর্যাদার ব্যাপার। এই সেতুর কল্যাণে এখন ঢাকা থেকে চার ঘন্টায় বরগুনায় যাওয়া যাচ্ছে। যেটা আগে লাগত কমপক্ষে ১০-১২ ঘণ্টা। আমাদেরও কিন্তু বিচার করতে গেলে এই গতিটা মেইনটেইট করতে হবে। তা-না হলে ৩৯ লক্ষ মামলাজট কমিয়ে আনতে পারব না।’

তিনি জানান, জুডিসিয়াল অফিসার আরও বাড়ানো হবে। বিচারকের সংখ্যা গিয়ে তিন হাজারে ঠেকতে হবে। জুডিসিয়াল অফিসাররা যাতে গাড়ি কেনার জন্য স্বল্পসূদে সরকারি ঋণ পান সে ব্যবস্থা তিনি করবেন বলেও বিচারকদের আশ্বস্ত করেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার বক্তৃতা করেন।

সারাবাংলা/জিএস/একে

আইনমন্ত্রী ডিজিটাল বিচার বিচারকাজ

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর